বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বন্ধ কোচিং সেন্টারও

  •    
  • ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:০৪

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সকালেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়, পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে।’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শিশুদের মাঝেও ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়।

শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে সকালেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়, পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল-কলেজ বন্ধ করা হয়েছে।’

ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণরোধে এর আগে, সকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

শুক্রবার সকালে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এই নির্দেশনা ২১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে এবং ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ ছাড়া আরও চারটি নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রাথমিকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল বন্ধের যে নির্দেশনা আমরা পেয়েছি এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এর পর খুদে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।’

দীপু মনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সংক্রমণের হার কমে গেলে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে এখন অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চলমান থাকবে।’

শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল রয়েছে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা চলাচল করবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারও ক্লাসে ফিরবে তারা। তবে শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজে যোগ দিতে পারবেন।

কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারও বন্ধ থাকবে। এ সময় তিনি টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকার কথা জানান।

সবকিছু খোলা রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমরা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি ফলপ্রসূ হবে কি না তা নির্ভর করবে আমাদের সবার ওপর। এ সময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

নতুন কারিকুলাম নিয়ে মন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলামের অধীনে পাইলটিং করা হবে ৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার।

প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। তার চার মাসের মাথায় আবারও দুই সপ্তাহের বন্ধের ঘোষণা এলো।

এ বিভাগের আরো খবর