করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব একাডেমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিততে বলা হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্থগিত পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
তবে ক্লাস অনলাইনে চলবে। আবাসিক হল বন্ধ করা হবে না বলে জানান তিনি।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে দেড় বছর পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। খুলে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।
তবে ক্লাস হয়েছে সীমিত পরিসরে। প্রতিদিন সব শ্রেণিতে ক্লাসও নেয়া হয়নি।
এখন আবারও সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সংক্রমণ দৈনিক ১০ হাজারের ঘর অতিক্রম করে, যা গত বছরের আগস্টের পর এত বেশি।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ১১ দফা নির্দেশনা জারি করে। তবে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কম হওয়ায় শুক্রবার আগামী দুই সপ্তাহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে পাঁচ নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।