রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ ছাড়াই ঢাকা ছাড়ছেন রবার্ট আর্ল মিলার।
শুক্রবার বিকেলেই মাতৃভূমির বিমান ধরবেন ৩৪ বছরের কূটনীতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানা মিলার।
তিনি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে তিন বছর ছিলেন।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এরই মধ্যে মিলার তার পূর্বনির্ধারিত সব অফিশিয়াল সাক্ষাৎ সম্পন্ন করেছেন। তবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ পাননি।
রাষ্ট্রাচার অনুয়ায়ী বিদায়ী দূতরা রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সাক্ষাৎ পেয়ে থাকেন।
সাধারণভাবে প্রাকৃতিক বাধা, বিরক্তি বা বিব্রতকর কোনো পরিস্থিতি না হলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ থেকে রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারদের বঞ্চিত করা হয় না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, কূটনৈতিক শিষ্টাচার অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা রাষ্ট্রদূত মিলারকে বিমানবন্দরে আন্তরিক বিদায় জানাবেন।
২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেয়া হয় মিলারকে।
বিদায়ী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মিশনকে তিনি তার পেশাগত জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় বলে আখ্যা দিয়েছেন।
নতুন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মিশনের দায়িত্ব নিতে অল্প সময়ের মধ্যেই ঢাকা আসবেন।