বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আমি হাসপাতালে যাব না, অনশন করব’

  •    
  • ২১ জানুয়ারি, ২০২২ ০২:০৫

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিশাত বলেন, ‘অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন অনশন ভেঙে ফেলেছে। আমি অনশন ভাঙিনি.., হাসপাতালেও অনশন চালিয়ে যাচ্ছি।’

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার দুপুর থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে অনশনে আছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জান্নাতুল নাইম নিশাত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নেয়া হয় এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

তবে তিনি হাসপাতাল যেতে চাননি। সহপাঠীদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘আমি হাসপাতালে যাব না, আমি তো বলেই এলাম, আমরণ অনশন করতে এসেছি। হাসপাতালে কেন যাব? আন্দোলনে এসেছি না?’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিশাতের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। তিনি বলেন, ‘অনেকে হয়ত ভাবতে পারেন অনশন ভেঙে ফেলেছে। আমি অনশন ভাঙিনি। অনশন ভাঙব না। হাসপাতালেও অনশন চালিয়ে যাচ্ছি।

‘যতদিন পর্যন্ত এই স্বৈরাচারী ভিসি পদত্যাগ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন থাকব।’

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নিশাতসহ ৭ জনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জন আছেন ওসমানী মেডিক্যালে এবং ২ জন জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর শুনে অনশন থেকে উঠে বাড়িতে যান ওই ২৪ জনের একজন।

অন্যরা তীব্র শীতের মধ্যেও ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে আছেন। তাদের মধ্যে ৮ জনকে দেয়া হচ্ছে স্যালাইন।

অনশনকারীদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে সবার আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কাজল দাশকে।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাজলও বলেন, ‘এই অযোগ্য ভিসি যদি পদত্যাগ না করে, তবে আমি মরার আগ পর্যন্ত অনশন ভাঙব না। কোনোভাবেই ভাঙব না। ভিসি পদত্যাগ করলেই ভাঙব।’

একই বক্তব্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মরিয়ম রুবি ও ক্যাম্পাসে থাকা জাহিদুল ইসলাম অপূর্বেরও।

শিক্ষার্থীদের অনশনস্থলে সেবা দিতে দেখা গেছে ওসমানী মেডিক্যালের কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।

এদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন। মিছিলটি উপাচার্যের বাসবভনের সামনে থেকে শুরু হয়ে চেতনা একাত্তর হয়ে আবার উপাচার্যের বাসভভনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এক হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের আন্দোলন গত রোববার থেকে রূপ নেয় উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে। ওই প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের পর শিক্ষার্থীদের এখন একটাই দাবি, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ।

পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের পর রোববার সন্ধ্যায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। হল ছাড়ার নির্দেশও দেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীরা তালা ঝুলিয়ে হলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এ বিভাগের আরো খবর