সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করে হাইকোর্টের চারটি বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনার নামে চারটি প্রদেশ সৃষ্টি করে এই চার প্রদেশে আলাদা হাইকোর্ট স্থাপন করতে বলা হয়েছে।
নোটিশটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইন সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
ছয় মাসের সময় দিয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে উপরোক্ত প্রস্তাব অনুসারে ৪টি প্রদেশ ঘোষণাসহ যাবতীয় কার্যকরী ব্যবস্থা করতে হবে।
অন্যত্থায় জনস্বার্থে রিট করা হবে।
নোটিশে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত সুদৃঢ় বিধায় সুশাসনের জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করা আবশ্যক।
বাংলাদেশের আয়তন কম হলেও জনসংখ্যা প্রায় ২০ কোটি। ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া অত্যধিক এবং তীব্র যানজট যা একমাত্র প্রশাসনিক ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস ছাড়া সমাধান করা সম্ভব নয়। আগে আমাদের বাংলাদেশে ৪টি বিভাগ ছিল যা বর্তমানে প্রায় ১০টি বিভাগ কিন্তু যানজট এবং জনসংখ্যার চাপ আদৌ কমেনি।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘বর্তমানে জনসংখ্যার চাপ অত্যাধিক, সেই জন্য ৪টি প্রদেশ করা জরুরি। সুতরাং আগের ৪টি বিভাগকে ৪টি প্রদেশ ঘোষণা করে পর্যায়ক্রমে প্রশাসনিক ব্যবস্থা পূনর্বিন্যাস করা আবশ্যক।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘আগের বিভাগ অনুসারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং খুলনা প্রদেশ নামকরন করা যেতে পারে।’
৪টি প্রদেশে ৪টি হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হলে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দ্রুত কমবে এবং ৪টি হাইকোর্টের জন্য বর্তমান সুপ্রিম কোর্ট বহাল থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং ৪টি প্রাদেশিক সরকার সম্মিলভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে অংশ গ্রহণ করতে পারবে।
এর ফলে প্রশাসনিক ব্যবস্থার উন্নতি হবে এবং বেকার সমস্যার সমাধান হবে। ঘর ভাড়ার পরিমাণ কমে যাবে। প্রত্যেকটি এলাকা উন্নত হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।