বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির তদন্ত ৬ বছরেও কেন শেষ হয়নি: হাইকোর্ট

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:১৯

বেসিক ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় অন্তত ৫৬টি মামলা হয়েছে। ব্যাংকটির ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত ছয় বছরেও শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে।

আলোচিত বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় করা মামলাটির তদন্ত ছয় বছরেও শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট।

ব্যাংকটির শান্তিনগর শাখার তখনকার ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর জামিনসংক্রান্ত একটি রায়ে এমন মন্তব্য করে আদালত।

গত বছরের ১৪ মার্চ এ রায়টি দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সম্প্রতি এই রায়ের লিখিত কপি প্রকাশ হয়।

বেসিক ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় অন্তত ৫৬টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে এটি একটি মামলা।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জয়নুল আবেদীন ও মো. সগির হোসেন লিয়ন, অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় করা মামলায় আসামি ছয়জন। বেসিক ব্যাংকের শান্তিনগর শাখা থেকে বেআইনিভাবে ৪৮ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ আনা হয় মামলায়। আসামি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী শান্তিনগর শাখার প্রধান ছিলেন।

লিখিত রায়ে আদালত বলে, এটা বাস্তবতা যে, এই মামলায় ২০১৫ সালে এজাহার হলেও অদ্যবধি অর্থাৎ প্রায় ছয় বছর শেষ হতে চললেও কমিশন মামলার তদন্তকার্য সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। কমিশনের হলফনামায় দেখা যায়, কমিশন ফলো দ্য মানি অর্থাৎ টাকার গতিপথ শনাক্ত করতে পারেনি বলে তদন্তকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘কমিশন মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিংয়ের (এপিজি) নির্দেশনা মেনে চলে বলে দাবি করে। হলফনামায় বলা হয়, আত্মসাৎকৃত টাকার গতিপথ শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত কমিশনের পক্ষে মামলার তদন্তকার্য সমাপ্ত করা সম্ভব নয়।’

রায়ে আরও বলা হয়, আদালত ক্ষোভ, হতাশা ও দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছে যে, ‘কমিশনের এহেন বক্তব্য আদালতের কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হয়েছে।

এ মামলায় এক নম্বর আসামি ঋণগ্রহীতা। তিনজন বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা অর্থাৎ সরকারি কর্মচারী উল্লেখ করে আদালত বলে, এই মামলার তদন্তের মূল বিষয়বস্তু হওয়া উচিত সরকারি কর্মচারী অথবা ব্যাংকার হিসেবে আসামির অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ এবং অপরাধমূলক অসদাচরণ সংঘটিত হয়েছে কি না।

এ বিষয়ে আদালতের সুচিন্তিতি অভিমত হলো- উপরোক্ত অপরাধ প্রমাণে আত্মসাৎকৃত অর্থের গতিপথ শনাক্ত করা আদৌ কোনো অপরিহার্য বা বাধ্যতামূলক শর্ত হতে পারে না। আর এ মামলাটি অর্থ পাচারের অধীনে নয় যে অর্থের গতিপথ নির্ধারণ অপরিহার্য বা বাধ্যতামূলক।

দণ্ডবিধির ৪০৫ অনুযায়ী অভিযুক্তরা তাদের নিকট জিম্মাকৃত কিংবা কর্তৃত্ব বা অধীনে থাকা সম্পত্তির/অর্থের ক্ষেত্রে বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছে কি না এটাই মুখ্য বিবেচ্য বিষয়।

আদালতে বলে, কমিশন ফলো দ্য মানি অনুসরণ করে তদন্তের যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাতে আদালতের বলতে কোনো সংকোচ নেই যে, কমিশন বর্তমান মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে ভুল পথ অনুসরণ করেছে এবং করছে।

দুদকের দায়িত্ব সম্পর্কে আদালত বলেন, কমিশনের দায়িত্ব দুর্নীতি চিহ্নিত করা এবং অপরাধীদের আইন ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা। আত্মসাৎকৃত সম্পদ বা অর্থ উদ্ধারে কমিশনের মুখ্য কোনো কাজ নয় বলেও রায়ে উল্লেখ করেছে উচ্চ আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর