উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাদের মধ্যে কাজল দাস নামের একজনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পাঁচজনের হাতে অনশনস্থলেই স্যালাইন লাগানো হয়েছে।
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৪ জন বুধবার দুপুর থেকে অনশন শুরু করেন। তীব্র শীত আর অনাহারে রাতভর রাস্তায় থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাদের শরীর খারাপ হতে থাকে।
এদিন দুপুর ১২টার দিকে একজন চিকিৎসক তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে যান।
এর এক ঘণ্টা পর কাজল দাস নামের এক অনশনকারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কাজল পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, রাতে কাজলের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। এ ছাড়া তার রক্তচাপ কমে যায়।
সিলেটের যে হাসপাতালে কাজল দাসকে নেয়া হয়েছে সেখানকার চিকিৎসক বাবলু হোসেন বলেন, ‘জ্বর ও রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তবে হাসপাতালে আনার পর তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।’
শিক্ষক প্রতিনিধিরা দুই দফায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে যান। তবে শিক্ষার্থীরা আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তাব দেন। তবে শিক্ষার্থীরা এই প্রস্তাবেও সম্মত হননি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাব্বির আহমদ বলেন, ‘ঠান্ডা ও অনাহারে আমাদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তবু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’