বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধে পদক্ষেপ নিন

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:০১

গুজব নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা যদি গত সাত-আট বছরের পরিসংখ্যান দেখি, তাহলে দেখতে পাই, আমাদের দেশে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, গুজব রটেছে, রটানো হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তার প্রায় সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা সে বিষয়টি তুলে ধরেছি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি রোধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে বৃহস্পতিবার ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলন চলছে।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, জেলা প্রশাসকরা হচ্ছেন মাঠ প্রশাসনের প্রাণ। জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমেই সরকারি সিদ্ধান্তগুলো মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন হয়। এ জন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘আজকে যে সেশনটি একটু আগে শেষ করলাম, সেখানে যে বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে, তার মধ্যে বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় ৯ কোটি মানুষ ব্যবহার করে। সেটি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন প্রচারের বড় ক্ষেত্র, তেমনি অপপ্রচার রটানোর ক্ষেত্রেও এটি একটি বড় ক্ষেত্র।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা যদি গত সাত-আট বছরের পরিসংখ্যান দেখি, তাহলে দেখতে পাই, আমাদের দেশে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে, গুজব রটেছে, রটানো হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তার প্রায় সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা সে বিষয়টি তুলে ধরেছি।’

তিনি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় নানা বিভ্রান্তিমূলক খবর পরিবেশন করে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা করা হয়। সে বিষয়গুলো ডিসিদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তারা যেন এসব বিষয়ে তৎপর থাকেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’

ব্রিফিংয়ে সম্প্রচার নীতিমালা নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপিটিভি বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে কেউ সংবাদ পরিবেশন করতে পারে না, কিন্তু দেখা যায় আইপিটিভির মাধ্যমে এখনও কোনো কোনো জায়গায় খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। নিয়মিত সংবাদ বুলেটিন পরিবেশন করা হয় এবং ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমেও সংবাদ বুলেটিন প্রচার করা হচ্ছে।

‘এটি আমাদের সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী করতে পারে না; যে সম্প্রচার নীতিমালা আমাদের মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের কাছে সেসব কথা বলেছি। অনেকগুলো আইপিটিভি দেখা যায় যে, স্থানীয়ভাবে অনেক জনপ্রিয়। মানুষ তাদেরকে চিনে এবং তারা নিয়মিত খবর প্রচার করছে। তারা তো সেটা পারে না। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি যেটি, সম্প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী তারা পারেন না; তারা যেন এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’

বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচার (ক্লিনফিড) বাস্তবায়ন করায় ডিসিদের ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী।

এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে ধন্যবাদ জানিয়েছি। গত বছরের অক্টোবর থেকে ক্লিনফিড বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা যেভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে, সে জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। এখনও তাদের এ বিষয়ে নজর রাখতে বলেছি।

‘বিশেষ করে ক্যাবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করে, তারা যেন কোনোভাবে স্থানীয় চ্যানেল হিসেবে টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠান ও বিজ্ঞাপন প্রচার না করে; সেসব বিষয় যেন জেলা প্রশাসকরা নজরে রাখেন।’

এ বিভাগের আরো খবর