বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশ ৯৯ বনাম ১-এ বিভক্ত: সেলিম

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৩৯

দেশ এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সিপিবি সভাপতি সেলিম বলেন, ‘গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা আজ চরম আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হলে বামপন্থার উত্থান ঘটাতে হবে।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, বর্তমানে দেশ ‘৯৯ বনাম ১’-এ বিভক্ত। তার মতে, দেশের ৯৯ ভাগ মানুষই তাদের দাবিদাওয়া প্রকাশ করতে পারছে না।

রাজধানীর পল্টন ময়দানে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারিতে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার ২১তম বার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন সেলিম।

পল্টন মুক্তি ভবনের সামনে নিহতদের স্মরণে অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সিপিবির সভাপতি বলেন, "বর্তমানে দেশ ‘৯৯ বনাম ১’ এইভাবে বিভক্ত। এই ৯৯ ভাগ মানুষ যাতে তারা তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে না পারে, তার জন্য নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।’

দেশ এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সেলিম বলেন, ‘গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা আজ চরম আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হলে বামপন্থার উত্থান ঘটাতে হবে।’

২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হামলা হয়। এই হামলায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুট মিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এই ঘটনায় খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস রায় আহত হয়ে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। আহত হন শতাধিক নেতা-কর্মী।

২১ বছর আগের হামলার দিনটির কথা স্মরণে তিনি বলেন, ‘সেদিন কমিউনিস্টদের স্তব্ধ করার জন্য বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। যাতে কমিউনিস্ট পার্টি মানুষকে নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। হামলার পর জনগণের আরও বেশি অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সিপিবি এগিয়ে যাচ্ছে। অশুভ শক্তির হীন উদ্দেশ্য সফল হয়নি। এখনও নানা ষড়যন্ত্র চলছে। পল্টন বোমা হামলার মূল কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।’

সমাবেশে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘দ্বি-দলীয় ধারার বিপরীতে বাম বিকল্প শক্তির উত্থানের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০ জানুয়ারির পল্টন ময়দানের বোমা হামলার পর আলামত সংগ্রহ না করে সিপিবির নেতাকর্মীদের তৎকালীন আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনী লাঠিপেটা করে ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন, এই হামলা দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়েছে। আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরও বিএনপি সরকার একই কাজ করেছিল এবং একই কথা বলেছিল।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি শামসুজ্জামান হীরা, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক লুনা নূর, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ-মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য জহিরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর