বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রপ্তানি আয়ের অর্ধেকই এসেছে নিট পোশাক থেকে

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:২০

বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এই যে মহামারির মধ্যেও দেশের রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন হচ্ছে, তা কিন্তু নিট পোশাকের ওপর ভর করেই। মানুষ যত সমস্যায়ই থাকুক, যত অর্থ সংকটেই থাকুক না কেন, অতি প্রয়োজনীয় কাপড় কিনতেই হয়। সে কারণে নিট পোশাক রপ্তানি বাড়ছে।’

মহামারিকালে কম দামি পোশাকে ভর করেই রপ্তানিতে চমক দেখিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্ক ছড়ালেও অতি প্রয়োজনীয় কম দামের পোশাক বিশেষ করে নিট পোশাক রপ্তানি কমবে না বলে জানিয়েছেন এ খাতের রপ্তানিকারকরা।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ২ হাজার ৪৭০ কোটি (২৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক, ৪৫ দশমিক ২০ শতাংশই এসেছে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের দুটি উপখাত ওভেন ও নিট। আগে নিটের চেয়ে ওভেন পোশাক রপ্তানি থেকে বেশি বিদেশি মুদ্রা দেশে আসত। বেশ কয়েক বছর ধরে রপ্তানি বাণিজ্যে এই দুই খাতের অবদান ছিল কাছাকাছি। কিন্তু করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ওভেনকে পেছনে ফেলে ওপরে উঠে আসে নিট খাত।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি থেকে মোট ২৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে ওভেন পোশাক থেকে এসেছিল ১৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার। আর নিট পোশাক থেকে এসেছিল ১৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।

২০২০-২১ অর্থবছরে পাল্টে যায় চিত্র; নিট থেকে আসে প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার। আর ওভেন থেকে আসে ১৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সেই ব্যবধান আরও বেড়েছে। এই ছয় মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে ১৯ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছেন পোশাক রপ্তানিকারকরা। এর মধ্যে নিট পোশাক থেকে এসেছে ১১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। ওভেন থেকে এসেছে ৮ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।

জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে পোশাক রপ্তানি থেকে ১৯ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারের যে বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছে তার মধ্যে ৫৬.০৫ শতাংশই এসেছে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে। এই ছয় মাসে নিটে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩১ শতাংশ। আর ওভেনে রপ্তানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।

নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ-এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, আমরা নিজেরাও ভাবিনি নিট খাতের রপ্তানি এতটা বাড়বে। এই যে মহামারির মধ্যেও দেশের রপ্তানি আয়ে উল্লম্ফন হচ্ছে, তা কিন্তু নিট পোশাকের ওপর ভর করেই। মানুষ যত সমস্যায়ই থাকুক, যত অর্থ সংকটেই থাকুক না কেন, অতি প্রয়োজনীয় কাপড় কিনতেই হয়। সে কারণে নিট পোশাক রপ্তানি বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ওমিক্রন নিয়ে চিন্তায় আছি। তবে যদি দেশে দেশে আবার লকডাউন শুরু না হয়, তাহলে আমাদের রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। বর্তমানের ইতিবাচক ধারা আগামী ছয় মাস অব্যাহত থাকবে। সে বিবেচনায় গত অর্থবছরের মতো এবারও একটা ভালো বছর পার করব বলে মনে হচ্ছে।’

ওভেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি ও এভিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহামারির কঠিন সময়ে কম দামি পোশাক রপ্তানি করছি আমরা। বায়াররা অতি প্রয়োজনীয় পোশাক কিনেছেন। সে কারণে নিট পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে। এখন অবশ্য ওভেনও ভালো রপ্তানি হচ্ছে। প্রচুর অর্ডার আসছে। দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আমাদের ভালো দিন যাচ্ছে বলা যায়। তবে ওমিক্রনের ভয় সব সময় তাড়া করছে আমাদের।’

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে মোট ২৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক (নিট ও ওভেন) থেকে।

এই রপ্তানিতে নিট পোশাক খাতের অবদান হচ্ছে ৪৫ দশমিক ২০ শতাংশ। আর ওভেনের অবদান ৩৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর