বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০১:৫৭

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) হাসিবুল আলম বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আসামির স্ত্রী। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেয়া হবে।’

টাকার বিনিময়ে আসামিকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার খবর নিউজবাংলায় প্রকাশের পর টঙ্গী পূর্ব থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।

বুধবার রাতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ।

তিনি বলেন, ‘রাতেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।’

এর আগে বুধবার রাত ৯টায় নিউজবাংলায় “টাকা নিয়েও আসামির স্ত্রীর ‘কথা রাখেনি’ পুলিশ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদ প্রকাশের পরপরই বিষয়টি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নজরে আসে। পরে পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবিরের নির্দেশে রাতেই এএসআই মোমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) হাসিবুল আলম বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আসামির স্ত্রী। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেয়া হবে।’

নিউজবাংলার সেই সংবাদ

গাজীপুরের টঙ্গীতে টাকার বিনিময়ে আসামিকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মমিনুল ইসলাম টঙ্গী পূর্ব থানার সহকারী উপপরিদর্শক।

মমিনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাদকসহ আটকের পর ছেড়ে দেয়ার কথা বলে আসামির স্ত্রীর কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। পরে ১৬ হাজার ৭০০ টাকা পরিশোধ করলেও আসামিকে না ছেড়ে থানায় নিয়ে মাদক মামলা দেন ওই এএসআই।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় আরিচপুর বউবাজার এলাকা থেকে অমিত হাসানকে আটক করা হয়। তিনি টঙ্গীর দক্ষিণ আরিচপুর এলাকার কাজী ভিলায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন।

অমিতের স্ত্রী বৃষ্টি দাবি করেন, অমিতকে আটকের পরপরই এএসআই মোমিনুল ফোন করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বউবাজার রেলগেট এলাকায় দেখা করতে বলেন। পরে ১৩ দিনের সন্তানকে খালি বাসায় রেখে স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে ১৬ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে এএসআই মমিনুলের হাতে তুলে দেন তিনি। টাকা বুঝে পেয়ে মমিনুল বলেন, ‘মধুমিতা রেলগেট এলাকায় গিয়ে তোমার স্বামীকে ছেড়ে দেব। তুমি বাসায় চলে যাও।’

বৃষ্টি বলেন, ‘কিন্তু আমার স্বামীকে না ছেড়ে থানায় নিয়ে যান মমিনুল। পুলিশের মোটরসাইকেলের পেছনে ছুটতে ছুটতে টঙ্গী পূর্ব থানার গেট পর্যন্ত আমি আসি। তখন মমিনুল জানান, আমার স্বামীকে ছাড়া যাবে না। তাকে ৫০০ পিস ইয়াবার মামলায় চালান দেয়া হবে। এ কথা শুনে টাকা ফেরত চাইলে আমাকেও শরীরে করে মাদক পাচারের অভিযোগ এনে চালান করার হুমকি দেন। পরে সাংবাদিকদের আসতে দেখে ৮ হাজার টাকা ফেরত দেন তিনি।’

বৃষ্টি আরও বলেন, ‘আমাকে ৮ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা দিয়ে মাল (ইয়াবা) কিনে মামলা দেবে বলে জানায় মমিনুল। গ্রেপ্তারের সময় অমিতের কাছে আটটি ইয়াবা পাওয়ার কথা জানালেও বুধবার দুপুরে ৫২ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি ইয়াবাগুলো এলো কোথা থেকে?’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি ওসি স্যার অবগত আছেন। ওসি স্যারের নির্দেশে কিছু টাকা ফেরতও দিয়েছি। আর আমাদের মাল (ইয়াবা) কিনতে কিছু খরচ আছে। তাই বাকি টাকা রেখে দিছি।’

আসামির কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইয়াবা কিনে আসামিকে মাদক মামলায় চালান দেয়ার কোনো নিয়ম আছে কি না জানতে চাইলে মমিনুল বলেন, ‘কিছু তো নিতেই হবে। না হলে চলব কীভাবে?’

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জাবেদ মাসুদ বলেন, ‘আমি বিষয়টা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। যদি সে এমন কিছু বলে থাকে, তাহলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. হাসিবুল আলম বলেন, ‘ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

এ বিভাগের আরো খবর