বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চাইল বাংলাদেশ

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:২৯

বুধবার এক ফোনালাপে এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো এল পি মারসুদির কাছে রাজনৈতিক সমর্থন চেয়েছেন। তিনি এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধান আনতে ইন্দোনেশিয়া এবং আসিয়ান জোটের অব্যাহত সমর্থনের অনুরোধ করেন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য পূর্ব এশিয়ান ক্ষমতাধর মুসলিম দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, বুধবার এক ফোনালাপে এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো এল পি মারসুদির কাছে রাজনৈতিক সমর্থন চেয়েছেন।

তিনি এই দীর্ঘস্থায়ী সংকটের একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধান আনতে ইন্দোনেশিয়া এবং আসিয়ান জোটের অব্যাহত সমর্থনের অনুরোধ করেন।

ড. মোমেন আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের সঙ্গে আরও বেশি মিথস্ক্রিয়া চায়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আসিয়ানের কিছু সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধনশীল বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে এবং যা দ্রুত বাড়ছে।

ফোনালাপে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থী হওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন।

জবাবে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রার্থিতাকে সমর্থন জানিয়ে আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে বৃহত্তর সম্পৃক্ততা গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

ড. মোমেন বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের পক্ষে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন কামনা করেন।

উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং গভীরতা ও মাত্রায় সম্পর্ককে আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন।

ড. মোমেন বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে আসছে।

উভয় মন্ত্রী এ বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর যথাযথভাবে উদযাপন করতে সম্মত হয়েছেন।

মোমেন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা সন্তোষজনকভাবে উল্লেখ করেছেন। এই প্রসঙ্গে, তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবিত দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির দ্রুত সমাপ্তির ওপর জোর দেন, বিশেষত এই বছরে যা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জলাবদ্ধতা চিহ্নিত করে।

তিনি বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়ার আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বিদ্যমান ভারসাম্যহীনতা কমানোর ওপর জোর দেন।

মোমেনের অনুভূতির জবাবে মারসুদি গভীর সন্তুষ্টির সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী থেকে শক্তিশালী হচ্ছে এবং সম্পর্ককে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর