বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশিদের স্বাগত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:০৫

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকতে ইচ্ছুক।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ যে কোনো ভোট পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে মন্ত্রী একথা জানান। রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত মিলারকে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়েও ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশের বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র।

দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

এ কে আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তার মেয়াদে বাংলাদেশে সক্রিয় কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন সহায়তা পাওয়ার বিষয়টিও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন এবং আগামী এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরির বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি স্মরণ করেন। দুপক্ষই আশাবাদ ব্যক্ত করে যে আগামীতে ধারাবাহিক সংলাপ ও সফর হবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসি সফরে তাকে সাদরে গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান।

মোমেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলে উপকূলীয় বাঁধ পুনরুদ্ধার এবং আরও উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করার অনুরোধে সাড়া দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

তারা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজনসহ মানবাধিকার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ভাসানচরে মানবিক কার্যক্রমে অংশ নিতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় দাতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।

আর্ল মিলার বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের উষ্ণ আতিথেয়তার উল্লেখ করে এখানে দায়িত্ব পালনকে তার কর্মজীবনের সেরা সময় বলে উল্লেখ করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবিক সহায়তার পাশাপাশি প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একইসঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তার উত্তরসূরি দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে যথেষ্ট অবদান রাখবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকতে ইচ্ছুক।

এ বিভাগের আরো খবর