বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভুয়া চীনা ডিগ্রি: ডাক্তার পরিচয় দেয়া সাত জন গ্রেপ্তার

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:২৩

দুদক সচিব জানান, তারা চীনের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন তাইশান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। পরে রেকর্ডপত্র যাচাইকালে দেখা যায়, তাদের এমবিবিএস সার্টিফিকেটগুলো ভুয়া।

এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসক হিসেবে নিবন্ধন নেয়া সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনির নেতৃত্বে একটি টিম তাদের রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন।

যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা হলেন, কুমিল্লার ইমান আলী ও মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের তন্ময় আহমেদ, চাঁদপুরের মোক্তার হোসাইন, গাজীপুরের মো. কাউসার ও নারায়ণগঞ্জের রহমত আলী।

ভোলার মাহমুদুল হাসান, ঢাকার আসাদ উল্লাহ, বাগেরহাটের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর সাইফুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জের আসলাম হোসেনকেও ভুয়া সনদধারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এদের সহযোগিতার দায়ে আসামি হয়েছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার জাহিদুল হক বসুনিয়া ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান।

দুদক সচিব জানান, তারা চীনের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন তাইশান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন।

এই ১২ ভুয়া চিকিৎসক ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর মামলা করে দুদক। তারও আগে এসব সনদ যাচাই-বাছাই করতে চীনে পাঠায় দুদক।

দুদক সচিব বলেন, ‘অভিযুক্তদের মধ্যে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি মাহমুদুল হক নামে একজন ভুয়া চিকিৎসক হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইতে গেলে তাকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।

‘রেকর্ডপত্র যাচাইকালে দেখা যায় তাদের এমবিবিএস সার্টিফিকেটগুলো ভুয়া। ১২ জন এমবিবিএস ডিগ্রিধারীর সনদ ভুয়া। এমবিবিএস সনদধারী ওই ব্যক্তিরা কখনও চীনের তাইশান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেননি।’

মামলার এজাহারে বলা হয়, এমবিবিএস সনদের সত্যতা যাচাই করার জন্য সনদপত্রগুলোর অনুলিপি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন তাইশান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে পাঠানো হয়। চীনের ওই ইউনিভিার্সিটি জানায় তাদের কাছে এই ছাত্রদের কোনো রেকর্ড নেই।

চিকিৎসায় ডিগ্রি না নিয়েও যারা ডাক্তারি সনদ ব্যবহার করছেন অথবা নামে-বেনামে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন তাদের উপরও দুদকের নজর রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব।

তিনি বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর