বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবরার হত্যা: বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দণ্ডিতের বাবার

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৪৭

রাষ্ট্রপতি বরাবরে বুধবার পাঠানো আবেদনে দাবি করা হয়, রায়ের পর প্রকাশিত জাবেদা নকলের সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের সময়ে দেয়া জাবেদা নকলের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাছাড়া এই তিনজন জবানবন্দি বা জেরার সময় নিজেদেরকে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে দাবি করেননি। অথচ রায়-পরবর্তী জাবেদা নকলের কপিতে দেখা যায় ওই তিন সাক্ষীকে প্রত্যক্ষদর্শী করা হয়েছে।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় তিন সাক্ষীর জবানবন্দি পরিবর্তন করে রায় ঘোষণার অভিযোগ তুলেছেন দণ্ডিত এক আসামির বাবা। মামলার অন্যতম আসামি মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলামের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রবিউল ইসলাম বিচারকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে একটি আবেদন ডাকযোগে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন।

রবিউল ইসলামের অভিযোগ, আবরার হত্যা মামলায় ২২ নম্বর সাক্ষী মো. গালিব, ২৭ নম্বর সাক্ষী ওয়াহিদুর রহমান ও ২৮ নম্বর সাক্ষী মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে দেয়া জবানবন্দি ও জেরা পরিবর্তন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিচারক তার ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।

এই আবেদনের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আবেদনকারী রবিউল ইসলাম।

রাষ্ট্রপতি বরাবরে বুধবার পাঠানো আবেদনে দাবি করা হয়, রায়ের পর প্রকাশিত জাবেদা নকলের সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের সময়ে দেয়া জাবেদা নকলের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাছাড়া এই তিনজন জবানবন্দি বা জেরার সময় নিজেদেরকে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে দাবি করেননি। অথচ রায়-পরবর্তী জাবেদা নকলের কপিতে দেখা যায় ওই তিন সাক্ষীকে প্রত্যক্ষদর্শী করা হয়েছে।

রবিউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলার রায় প্রচার হওয়ার আগে ও পরে দেয়া ওই তিন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরার জাবেদা নকলের কপি আমার কাছে আছে। উভয় জাবেদা নকলের কপি মিলিয়ে দেখে আমরা অবাক হয়েছি। একজন মেধাবী ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দিতে তিন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা পরিবর্তন করা হয়েছে।’

নিউজবাংলাকে তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি বরাবর তিনি এই আবেদনের কপি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠিয়েছেন। আবেদনের অনুলিপি তিনি প্রধান বিচারপতি এবং আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়েও পাঠিয়েছেন।

আবরারকে যে রাতে হত্যা করা হয়, তার পরদিন ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর তার বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে।

পাঁচ সপ্তাহ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তাতে আসামি করা হয় ২৫ জনকে।

অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ওই বছরের ১৮ নভেম্বর পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তাদের মধ্যে একজন পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে মামলাটি পরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ বদলির আদেশ দেয়া হয়। বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচারকাজ শুরু করেন।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়। দু’পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত বছরের ১৪ নভেম্বর বিচারক এ মামলার রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর তারিখ রাখেন। তবে ওই দিন রায় লেখা বাকি থাকায় তারিখ পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর ঠিক করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর