বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘দুর্ভোগ লাঘবে’ দোকান বন্ধ, জবি ক্যাফেটরিয়ায় খাবার সংকট

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৪৭

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য তিনটি ক্যাফেটরিয়া থাকলেও বর্তমানে চালু একটি। প্রধান ফটকের সামনে অস্থায়ী খাবার দোকানগুলো থাকলেও তা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। তাদের দাবি ‘চাঁদাবাজি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি লাঘবের জন্য।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রধান ফটকের সামনে অস্থায়ী খাবার দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়ায় ক্যাফেটরিয়াতে প্রায় প্রতিদিনই খাবারের সংকট দেখা দিচ্ছে। করোনার সময় জমায়েতের বিধিনিষেধের মধ্যে সেখানে বড় জটলা তৈরি হয়। বিশেষ করে সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের সময় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করতে হয়।

খাবার সংগ্রহের জন্য সেখানে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গাও মিলছে না। এখন বিভিন্ন বিভাগে সকালে ক্লাস পরীক্ষা চলছে। ক্যাফেতে ভোগান্তির কারণে নাশতা না করেই ক্লাস পরীক্ষায় যেতে হচ্ছে তাদের।

গণিত বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সকালে পরীক্ষা। বাসা থেকে নাশতা করে আসিনি। ভেবেছিলাম ক্যাফেতে খেয়ে নেব। কিন্তু এসে দেখি খাবারের জন্য বিশাল সিরিয়াল। উপায় না দেখে আমি ও আরও অনেকে নাশতা না করেই পরীক্ষার হলে ঢুকি।’

বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার বাসা ঢাকার বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আসা-যাওয়া করে ক্লাস করি৷ খুব সকালে বাস ধরতে হয়৷ তাই নাশতা করে বের হতে পারি না। ক্যাম্পাসে এসেই খাবার খেতে হয়। কিন্তু এসে যখন দেখি নাশতা থাকে না, থাকলেও আবার লম্বা লাইন। তখন দাঁড়িয়ে খাবার নিতে অনেক কষ্ট হয়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য তিনটি ক্যাফেটরিয়া থাকলেও বর্তমানে চালু একটি। প্রধান ফটকের সামনে অস্থায়ী খাবার দোকানগুলো থাকলেও তা চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। তাদের দাবি ‘চাঁদাবাজি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি লাঘবের জন্য।’

নিয়মিত ক্যাফেটরিয়ায় খাবার খাওয়া প্রাণরসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে ক্যাফেতে খাবারের কোনো অভাব থাকত না। দুপুরেও পর্যাপ্ত খাবার থাকত। কিন্তু ইদানীং ক্যাম্পাসের সামনের দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখানে চাপটা বেশি পড়ছে।’

ক্যাফেটরিয়ার দায়িত্বে থাকা মো. মাসুদ মিয়া বলেন, ‘আগের থেকে এখন খাবারের চাপ একটু বেশি। প্রথম দিকে একটু কষ্ট হলেও এখন সামলে নিচ্ছি।’

খাবারের দোকানগুলো বন্ধ হওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কথা ভেবেই দোকানগুলো বন্ধ করেছি৷ তাছাড়া এখানে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আমরা এখন এটা সংস্কার করে শিক্ষার্থীদের বসার উপযুক্ত জায়গায় পরিণত করব। যেখানে শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীরা আড্ডা দেবে।’

সার্বিক বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ‘এখন শীতের সময় থাকায় গ্যাস থাকে না ঠিকঠাকমতো৷ তাই ক্যাফেটরিয়ার খাবার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার ওপর আবার টিএসসি বন্ধ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে একটু ভিড় থাকে, এটা আমরাও লক্ষ করেছি৷ তবে, খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর