ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সূর্যসেন হল থেকে গ্রেপ্তার আল-আমিন খান রিজনকে এক দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
চাঁদাবাজি মামলার শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মাহবুব আহমেদ বুধবার তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
এর আগে শাহবাগ থানা পুলিশ আল-আমিনকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তের স্বার্থে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে।
আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আল-আমিনকে এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
আদালতে শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা, পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ফকির নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হলের ১০২ নম্বর কক্ষ থেকে আল-আমিনকে আটক করা হয়।
আল-আমিনের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার মহাস্থানগড়ে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ সেশনে ফাইন্যান্স বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৫-১৬ সেশনে পুনঃভর্তি হন।
২০১৬-১৭ সেশনে পুনঃভর্তির আবেদন করলেও আর ভর্তি হতে পারেননি আল-আমিন। তিনি অছাত্র হিসেবেই সূর্যসেন হলের ১০২ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
হল সূত্রে জানা যায়, আল-আমিন নিজেকে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী বলে পরিচয় দিতেন। আসন্ন ঢাবি ছাত্রলীগের হল সম্মেলনে তিনি সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী বলেও দাবি করতেন।
সর্বশেষ মঙ্গলবার পিস্তল দেখিয়ে সূর্যসেন হলের সেলুনের মালিককে ভয় দেখানো ও চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠার পর রাতে আল-আমিন খানের কক্ষে অভিযান চালায় হল প্রশাসন। হলের ১০২ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
আল-আমিনের কক্ষ থেকে পিস্তল, হকিস্টিক ও রড উদ্ধার করা হয়, কিন্তু থানায় নেয়ার পর জানা যায়, পিস্তলটি আসলে খেলনার।