ফেসবুক লাইভে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। বুধবার নির্ধারিত দিনে সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আগামী ৪ জুলাই নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে।
অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে গত ২৩ নভেম্বর এই মামলায় বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করে আদালত। কিন্তু এদিন সাক্ষী না আসায় ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামস জগলুল হোসেন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ জুলাই নতুন তারিখ ধার্য করেন।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম এই তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী জীবন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপপরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, সিফাত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারায় অপরাধ প্রমাণ হয়েছে। আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান যে অস্ট্রিয়া প্রবাসী সিফাত উল্লাহ ফেসবুক লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে কথা বলছেন এবং আল কোরআন অবমাননা করছেন, যা মুসলিম বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
এই আসামি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন বলেও প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।