জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সরকারি কর্মকর্তাদের পাঠানোর প্রস্তাবে সায় দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার ডিসি সম্মেলনে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম।
শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মকর্তাদের পাঠানোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের অভিমত জানতে চাইলে জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব আলী আজম বলেন, ‘ইউএন মিশনের বিষয়টি নির্ভর করে যে দেশে তারা যাবে এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে চাহিদা প্লেস করার ওপর। আমরা দেখেছি, যে দেশের লোকজন জাতিসংঘ মিশনে বেশি কাজ করে ওইসব দেশ এই সুযোগ-সুবিধা পায়।
‘আমরা যাতে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সুযোগটা পেতে পারি সে জন্য জাতিসংঘে আমাদের স্থায়ী প্রতিনিধি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
দেশের তিনটি বিভাগে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাবেও সম্মতি দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আলী আজম বলেন, ‘বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হাসপাতাল করার জন্য আমরা তিনটি বিভাগ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। ইতোমধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
‘যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেয়েছি তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি এটি নির্মাণ করার জন্য, কার্যক্রম চলমান।’
কোভিড মহামারির মধ্যে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতেও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব। তিনি বলেন, ‘কোভিডের বিষয়ে আমাদের বক্তব্য সব সময় একই রকম। এখন ওমিক্রন এসেছে। এটির সিভিয়ারিটি কম থাকলেও ছড়াচ্ছে খুব বেশি।
‘এ কারণে জেলা প্রশাসকরা আগে যেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেভাবেই যেন এখনও সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে পরিচালিত হয়।’