বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুবহার মামলা: প্রতিবেদন পিছিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৩০

আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ছিল বুধবার। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক গোলসানারা বানু প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি।

গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ পিছিয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছে আদালত।

আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ছিল বুধবার। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক গোলসানারা বানু প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি।

পরে ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ঠিক করেন।

আদালতে বনানী থানার (নারী-শিশু) সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক সাইফুর রহমান তথ্যটি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

বনানী থানায় ৩ জানুয়ারি ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন সুবহা। যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এজাহারে সুবহা জানান, গায়ক ইলিয়াসের সঙ্গে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সুবহার পরিচয় হয়। দ্রুতই তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। তারা বিয়ে করেন ১ ডিসেম্বর। বিয়ের পরই ইলিয়াসের একাধিক বিয়ে ও প্রেমের তথ্য তিনি জানতে পারেন।

এদিকে বিয়ের সময় সুবহার পরিবার ইলিয়াসকে ১২ লাখ টাকা দামের রোলেক্স ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার জিনিস দেয়। কিন্তু ইলিয়াস এতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কিনতে ৫০ লাখ ও গাড়ির ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন। ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কিনতে সুবহার মায়ের কাছেও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ইলিয়াস। তখন সুবহার পরিবার তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, দাম্পত্যের শুরুতেই ইলিয়াস ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন সুবহাকে। ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে এ টাকা দাবির বিষয় নিয়ে দুজনের ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে সুবহাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। ৮০ লাখ টাকা যৌতুক দিতে রাজি না হলে ইলিয়াস পরদিন সুবহাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। ইলিয়াস তখন সুবহার চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালের সঙ্গে ঠুকে দেন। এরপর ইলিয়াস ব্যথার ওষুধ বলে যা দেন তা খেয়ে সুবহা অচেতন হয়ে পড়েন।

সুবহাকে অচেতন করে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সুবহা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এ বিভাগের আরো খবর