পৌরসভা নির্বাচনের দুই দিনের মাথায় চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সংসদ সদস্যের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বাঁশখালী পৌরসভার বিদায়ী মেয়রকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
পৌরসভার মিয়ারবাজার এলাকায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনির বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা জানান, বিদায়ী মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে হীরা মনির বাসায় যান। সেখানে আগে থেকেই পৌরসভা যুবলীগের আহ্বায়ক হামিদ উল্লাহও ছিলেন। তারা খেতে বসলে কয়েকজন যুবক বাসায় ঢুকে সেলিমুলকে গালাগাল করেন।
এরপর তাকে মারধর শুরু করেন। মারধরের সময় ওই যুবকরা বলছিলেন, ‘তুই এমপির সঙ্গে বেয়াদবি করছিস কেন?’ তারা সেলিমুলের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেন। পুলিশ এসে তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়।
হীরা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমার বাসায় হামিদ উল্লাহ এসেছিলেন। তার কিছুক্ষণ পর সেলিমুল হাঁপাতে হাঁপাতে এসে তাকে বাঁচাতে বলেন। তাকে নাকি কিছু লোক মারতে চাইছে। এরপর তিনি বসার পর কিছু লোক এসে হামলা চালায়।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী সিরাজের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে অনেকের ধারণা, ঘটনাটি ঘটেছে যুবলীগের আহ্বায়ক হামিদের ইন্ধনে। কৌশলে তাকে বাসায় ডেকে হামলা চালানো হয়েছে- এমনও মনে করছেন কেউ কেউ।
পরিকল্পিতভাবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা।
হামলার বিষয়ে কথা বলতে বিদায়ী মেয়র ও সংসদ সদস্যকে ফোন দেয়া হলে সেলিমুল ধরেননি ও মোস্তাফিজুরের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী। ২০১৮ সালে তার গাড়িতে হামলা চালানো হয়। ওই বছরই এক কলেজছাত্রী পৌর মেয়রসহ তিনজনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। এ দুই ঘটনায় সংসদ সদস্যকে দায়ী করেন সেলিমুল।
তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বাঁশখালীর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে মোস্তাফিজুরের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন।
১৬ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সেলিমুল। তবে তিনি নৌকার প্রার্থী এস এম তোফাইল বিন হোসাইনের কাছে পরাজিত হন।