নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার বেদনার মধ্যে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত তৈমূর আলম খন্দকার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন।
নারায়ণগঞ্জ নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়িতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন তিনি। দল থেকে বহিষ্কার হওয়া নিয়ে কথা বলছেন তৈমূর।
মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে হারের পর ‘তৈমূরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী’ শিরোনামে নিউজবাংলায় খবর প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন তৈমূর।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সই করা এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
রুহুল কবীর রিজভী বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উনি নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আগেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। নির্বাচন প্রশ্নে দল যেখানে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা না মেনে তিনি নির্বাচনে গিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তাকে দুটি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর এবার বিচার-বিশ্লেষণ শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে তৈমূর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাকে যদি বহিষ্কার করে থাকে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। দুইটা বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে মহামারি লাগছে। দুইটা রাজনৈতিক দলেই বহিষ্কার-অব্যাহতির হুমকি চলছে। এই দুইটা দলের যারা ত্যাগী নেতাকর্মী, তাদের আল্লাহর কাছে পানা চাওয়া উচিত, জালালি খতম পড়াইয়া।’
তৈমূরের পাশাপাশি তার প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালকেও তার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।