পূর্বশত্রুতার জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে তা শাহ আমানত হলেও ছড়িয়ে পরে।
সংঘর্ষে জড়ানো পক্ষ দুটি শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ ‘বিজয়’ ও ‘সিএফসি’। উভয় পক্ষই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ১৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে গ্রুপ বিজয়ের এক নেতার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে সিএফসির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে এ অনুষ্ঠান চলছিল। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সারা দিন ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মধ্যে দিনভর উত্তেজনা চলে।
পরে মধ্যরাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে দুই পক্ষ। রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালের চিকিৎসক খন্দকার আতাউল গণি বলেন, ‘আহত পাঁচ জন আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। পাথরের আঘাত ও দায়ের কোপ থাকায় তিন কর্মীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী জানান, এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের ১০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। সিএফসির অন্তত ৫ কর্মী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বিজয়ের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা তাদের হলে ঢুকিয়ে দিয়েছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’