বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঠাকুরগাঁওয়ে কমেছে গমের চাষ, লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:৩০

গম চাষি গণি মিয়ার অভিযোগ, ‘সরকারিভাবে গম সংগ্রহের সময় কৃষকরা সরকারি গোডাউনে দিতে পারে না। সরকার গমের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করলেও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা এর সুফল পাই না। তাই গম চাষে আগ্রহ তেমন নাই।’

ঠাকুরগাঁওয়ের যেসব জমি আগে ভরে থাকত গমে, এখন সেসব জায়গায় চাষ হচ্ছে ভুট্টা, মরিচ ও আলু। কৃষকরা বলছেন, লাভ কম হওয়ায় তারা গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

কৃষি বিভাগ বলছে, এ অবস্থা এবারই প্রথম নয়। পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে।

সারা দেশে উৎপাদিত গমের পাঁচ ভাগের এক ভাগ হতো এই জেলায়। তবে উৎপাদন খরচ না ওঠায় কৃষকরা অন্য আবাদে ঝুঁকছেন। এ কারণে গমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হচ্ছে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় বছরে ঠাকুরগাঁওয়ে গম চাষের জমি কমেছে ২২ হাজার ৬২৮ হেক্টর।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, এ বছর জেলায় ৪৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আবাদ হয়েছে ৪৫ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী বাজার গ্রামের হাশেম আলী বলেন, ‘আমি গত বছর এক বিঘা জমিতে ২৫ মণ গম পেয়েছিলাম। প্রতি মণ গম বিক্রি করি ৯০০ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায়। এতে এক বিঘায় লাভ পেয়েছি ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।

‘এত পরিশ্রমের পর এই লাভে পোষায় না। যদি প্রতি কাঠায় এই লাভ হতো তাহলে ঠিক ছিল। এভাবে আর কত দিন চাষ করা যায়?’

সদর উপজেলার এক গম চাষি গণি মিয়ার অভিযোগ, ‘সরকারিভাবে গম সংগ্রহের সময় কৃষকরা সরকারি গোডাউনে দিতে পারে না। সরকার গমের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করলেও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা এর সুফল পাই না। তাই গম চাষে আগ্রহ তেমন নাই।’

বাজারে ভালো গমের বীজ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন গাঙ্গর এলাকার নূর ইসলাম।

কৃষি কর্মকর্তা আবু হোসেন বলেন, ‘আমরা কৃষকদের বীজ, সারের বিষয়টি মনিটরিংয়ের মধ্যে রেখেছি। তাদের সঙ্গে মাঠপর্যায়ে গিয়ে কথা বলছি, প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। নানাভাবে তাদের আগ্রহ ধরে রাখার চেষ্টা করছি।’

গম উৎপাদন কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ডিলাররা।

বিএডিসি চুক্তিবদ্ধ বীজ ডিলার ও ঠাকুরগাঁও শহরের মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুজ্জামান বলেন, ‘গমের বীজ গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার কম বিক্রি হচ্ছে। যে ফসলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন, সেই ফসলই বেশি আবাদ করছেন। এতে আমরা ডিলাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর