দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক আরও বাড়াতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সহযোগিতা চেয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার বিকেলে মতিঝিলে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ সহযোগিতা চান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত এক বছরে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। চলতি অর্থবছর শেষে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রথমবারের মতো ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিতে আগ্রহী ভারত। এ জন্য এফবিসিসিআইর সহযোগিতার প্রয়োজন।
খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, অটোমোবাইল ও পোশাক খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের রাষ্ট্রদূত।
এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি-পরবর্তী সময়ে পোশাকশিল্পে সুতা ও তুলার বড় জোগানদাতা হতে পারে ভারত। বাংলাদেশে ভারতীয় কোম্পানিগুলো ভালো করছে।
বাংলাদেশে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগও লাভজনক হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ী নেতা জসিম উদ্দিন।
বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে স্থলবন্দরগুলোর ভারতীয় অংশের অবকাঠামো উন্নয়নের তাগিদ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, ভারতীয় বন্দরের সুযোগ-সুবিধার অভাবে বাংলাদেশ থেকে অনেক পণ্য রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য।
ভারতের রাষ্ট্রদূত বলেন, পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল গতিশীল ও সহজ করতে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে শিগগিরই আরেকটি নতুন গেট চালু করা হবে।
অন্য স্থলবন্দরে আরও বেশি পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ বাড়লে ভারতীয় অংশে উন্নয়নকাজ শুরুর আশ্বাস দেন দোরাইস্বামী।
তিনি জানান, তার সরকার দুই দেশের বাণিজ্য ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে আগ্রহী। এ জন্য আগামী ফেব্রুয়ারিতে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে সিইও ফোরাম চালুর আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) ফোরাম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু, বিজয় কুমার কেজরীওয়াল, মো. শাহ জালাল, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, ড. যশোধা জীবন দেবনাথ, প্রীতি চক্রবর্তী ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক উপস্থিত ছিলেন।