বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশীয় প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্পে চালু জিকে সেচ প্রকল্প

  •    
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:০১

অটোকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আজাদ জানান, পাম্প হাউসের ৩ নম্বর পাম্পটি নষ্ট হয়ে যায়। পাম্পটি মেরামত করতে বিদেশি প্রকৌশলীরা ১৮ কোটি টাকা চান। সেই পাম্প মাত্র ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় মেরামত করেন দেশীয় প্রকৌশলীরা। মেরামত করা পাম্প চালুর মধ্য দিয়ে সচল হলো দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের রবি মৌসুম।

দেশীয় প্রকৌশলীদের মেরামত করা পাম্প দিয়ে সচল হলো দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের রবি মৌসুম।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম মঙ্গলবার দুপুর ১টায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পাম্প হাউসে সুইচ টিপে এ মৌসুমের সেচ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এর আগে পাম্প হাউসের ৩ নম্বর পাম্পটি মেরামত করেন দেশীয় অটোকন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলীরা।

অটোকনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আজাদ জানান, পাম্প হাউসের ৩ নম্বর পাম্পটি নষ্ট হয়ে যায়। পাম্পটি মেরামত করতে বিদেশি প্রকৌশলীরা ১৮ কোটি টাকা চান। সেই পাম্প মাত্র ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় মেরামত করেন দেশীয় প্রকৌশলীরা।

মেরামত করা পাম্প চালুর মধ্য দিয়ে সচল হলো দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের রবি মৌসুম।

তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে ডিজিটাল ট্রান্সমিশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকা থেকেও সরাসরি পাম্পগুলো কী পরিস্থিতিতে আছে, তা জানা যাবে।’

জিকে পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাউসের তিনটি পাম্পের মধ্যে আজ একটি চালু করা হয়েছে। আর ১ নম্বরটির কিছু ত্রুটি রয়েছে, সেটি মেরামত করে দু-এক দিনের মধ্যেই সচল করা যাবে।

‘অন্যটি অর্থাৎ ২ নম্বরটির মেকানিক্যাল সমস্যা হয়েছে। এটিও মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়েছে।’

একটি পাম্প দিয়ে এখন প্রতি সেকেন্ডে ৬৫০ কিউবিক ফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এই পানি খালের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে যেতে আরও দুই দিন সময় লাগবে বলেও তিনি জানান।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম বলেন, ‘প্রকৌশলীরা একটি পাম্প সচল করায় প্রকল্পের সক্ষমতা বেড়েছে।

‘এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরার ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নিরবচ্ছিন্ন সেচসুবিধা দেয়া যাবে। এতে করে বোরো ধানের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করি।’

১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রায় ৪ লাখ হেক্টর জমিতে সেচসুবিধা দিতে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প চালু করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর