জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর বিদেশযাত্রায় বিচারিক আদালতের দেয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের এ আদেশের ফলে তার বিদেশযাত্রায় আইনি বাধা কাটল।
আদালতের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী হারুন অর রশিদ।
পরে আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১৯ সালে ক্যাসিনোকাণ্ডের ঘটনায় এমপি শামসুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই অনুসন্ধান এখনও চলছে। এই অনুসন্ধান সূত্রে দুদক তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে।
‘ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারিক আদালত তার বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরে এই নিষেধাজ্ঞার আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি। আদালত আমাদের আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।’
তিনি জানান, একই সঙ্গে হুইপের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। দুদককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনোর কারবার ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের এক আবেদনে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ গত বছরের জুনে একটি আদেশ দেন।
ওই আদেশে সামশুল হক চৌধুরী ছাড়াও ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান সাজ্জাদুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল হাই এবং ঢাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছিল, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।’