বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১২ বছরের নিচে টিকা নিয়ে এখনও ভাবছি না: শিক্ষামন্ত্রী

  •    
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:২১

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনই প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবছি না। করোনা ছড়িয়ে পড়ছে, এটা সব জায়গাতেই। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থাকলেও তো সংক্রমিত হবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে সংক্রমণ হয়েছে।’

চলতি জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন করার চেষ্টা থাকলেও ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া নিয়ে এখনই ভাবছে না সরকার।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘১২ বছরের নিচের শিশুদের জন্য এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকা অনুমোদন করেনি। যদি করে তাহলে আমরাও এটা নিয়ে ভাবব।

‘এখন পরিস্থিতি এমন একটি জায়গায় যাচ্ছে ,যে মোটামুটি কমিউনিটিতে সব দিকেই সংক্রমণ। কাজেই জীবনকে যতটুকু স্বাভাবিক রেখে করোনা মোকাবিলা করা যায়। আমরা কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আগেও বসেছি। হয়তো আগামী দু একদিনের মধ্যে বসব।’

এর আগে ১০ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেভাবে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম চলছিল, সেটি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি শিক্ষাকার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে চলতি মাসের মধ্যেই ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী সব স্কুল শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে।

দেশে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হলেও এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবা হচ্ছে না না জানিয়ে মঙ্গলবার দীপু মনি বলেন, ‘আমরা এখনই প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা ভাবছি না। করোনা ছড়িয়ে পড়ছে, এটা সব জায়গাতেই। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থাকলেও তো সংক্রমিত হবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে সংক্রমণ হয়েছে।

‘আক্রান্তদের চিকিৎসা দিয়ে আইসোলেট করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। কাউকে আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।’যে সব শিক্ষার্থী ক্লাসে আসতে পারবে না তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট করে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে বলা আছে। এখন আমাদের প্রচেষ্টা হলো, জীবন যতখানি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব সেটা রেখে আমরা করোনা মোকাবিলা করব।

‘যদি এমন দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, আমরা ক্লাস চালু রাখতে পারছি না, তাহলে আমাদের অনলাইনে যেতেই হবে। এখন অনলাইন বা অ্যাসাইমেন্ট আমরা চালু রাখছি। কারণ, সবাই তো আসতে পারছে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকের বাড়িতে অসুস্থ রোগী আছেন। শিক্ষার্থীদের কেউ নিজেও অসুস্থ। সেক্ষেত্রে কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে। আমরা বিকল্প পদ্ধতিও চালু রাখছি ও রাখব। যেখানে এখনও ভার্চুয়ালি সম্ভব না সেখানে অ্যাসাইন্টমেন্ট দেব। গত ছয় মাসেও তো আমাদের কিছু সক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু তারপরও আমরা শতভাগের কাছে পৌঁছাতে পারব না।’

এ সময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ হার আমরা যেটা দেখি, কমিউনিটি রেটটা সেভাবে পাচ্ছি না। আমাদের দেশে কিন্তু ওমিক্রনের চেয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। এটিতে মৃত্যুঝুঁকি আছে। কাজেই আমরা যেন স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলি।’

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে পুল গঠনের প্রস্তাব

বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়োগের ক্ষেত্রে পুল গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা। এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় আমরা কোথায় কোথায় কী করছি তা তুলে ধরেছি, আর তাদের কিছু প্রস্তাব ছিল, আমরা সেগুলোর বিষয়ে আমাদের মতামত তুলে ধরেছি। একটা বিষয় ছিলো যে, কারিগরি শিক্ষা যেন সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে চালু করা হয়। সেটা আমরা এর মধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছি, তা তাদের জানালাম।

‘বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি পুল গঠন করা এবং সেখানে জেলা প্রশাসকদের অন্তর্ভুক্ত করার একটি প্রস্তাব এসেছে। এটা করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটিগুলোর কাজে আরও স্বচ্ছতা আনতে মাধ্যমিক শিক্ষায় উপজেলায় কমিটি করার পরামর্শ এসেছে। আমরা মনে করি এটা খুব ভালো, আমরা এটা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর