নওগাঁর রাণীনগরে করোনাভাইরাসের টিকার রেজিস্ট্রেশন ও সনদের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করেছে।
আবাদপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলার ২১টি স্কুলের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে নিজ স্কুলের ৬৫৪ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, টিকার রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও সনদ দেয়ার খরচ হিসেবে তাদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা নেয়া হয়েছে। টাকা নেয়ার বিষয়টি গোপন রাখতেও বলা হয়েছে।
এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টিকার রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও সনদ প্রিন্ট করতে কিছু খরচ হয়। সেই খরচের কিছু টাকা শিক্ষার্থীদের দিতে বলা হয়েছে।’
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমীন জানান, প্রিন্টের জন্য কাগজের ব্যবস্থা তারাই করেছেন।
রুহুল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার জন্য কারো কাছ থেকে এক পয়সাও নেয়ার কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি। ওই কেন্দ্রে টিকা দেয়ার জন্য যাবতীয় খরচের ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। তবে প্রধান শিক্ষক কার নির্দেশে এমন জঘন্য কাজ করলেন সে বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের টাকাও ফেরত দেয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কে এইচ এম ইফতেখারুল আলম খাঁন অংকুর বলেন, ‘টিকা ও টিকা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম স্বাস্থ্য বিভাগ সরবরাহ করছে। আর কেন্দ্র নির্ধারণ ও কেন্দ্রের যাবতীয় খরচের ব্যবস্থা করছে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান, তদন্ত করে যারা টাকা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে পাবনার একটি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও করোনাভাইরাসের টিকার জন্য টাকা নেয়ার অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে টাকা ফেরত দেয়া হয়।