বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতারণার মামলায় সাহেদ-মাসুদের বিচার শুরু

  •    
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:০৭

২০২০ সালের ৬ জুলাই রাজধানী উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়। এরপর হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা হয়। ১৫ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয় সাহেদকে।

প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন। এর মাধ্যমে মামলাটির বিচার শুরু হলো।

আদালত একই সঙ্গে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখও ঠিক করে দিয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান।

সাহেদ ও মাসুদ ছাড়া এদিন এ মামলায় বিচার শুরু হয়েছে রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার শিপন আলীরও।

আদালতে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী দবির উদ্দিন অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়। আসামিরা আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান।

শুনানিতে আসামি শিপন আলীর আইনজীবী মো. শাহারিয়ার ভুঁইয়া আদালতে বলেন, ‘চেকের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগেই মামলার বাদী এস এম শিপন আসামি শিপন আলীর নামে মামলাটি করেন। এতে প্রতারণার উপাদান সমৃদ্ধ নেই।’

আসামি সাহেদ ও মাসুদ পারভেজের পক্ষে তাদের আইনজীবী মোহাম্মদ দবির উদ্দিন অভিযোগের শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতায় তা নাকচ করে দেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান আদালতকে বলেন, ‘বহুবার এই মামলার অভিযোগ শুনানি পেছাতে আসামিপক্ষ সময়ের প্রার্থনা করেছে, আদালত তা মঞ্জুরও করেছে। তাই আর সময় না দিয়ে অভিযোগ গঠন করার নিবেদন করছি।’২০২০ সালের ২৪ জুলাই বালু ব্যবসায়ী এস এম শিপন দুই আসামির বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শিপন আলী ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর এস এম শিপনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ৫০ লাখ সিএফটি বালু কেনেন। এর মূল্য পরিশোধের জন্য দেয়া চেক ডিজঅনার হয়।

পরে আসামি শিপন জানান সাহেদ ও মাসুদের নির্দেশে তিনি এই বালু কেনেন। মামলার বাদী বুঝতে পারেন, তারা বালু বিক্রির ৬১ লাখ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছেন। এরপর মামলা করেন এস এম শিপন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালে ৮ নভেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পুলিশের পরিদর্শক আকরাম হোসেন

সাহেদের নামে যত মামলা

সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে এই মামলাসহ মোট ৩৫ টি মামলা চলমান বলে নিউজবাংলাকে জানান তার পক্ষের প্রধান আইনজীবী মোহাম্মদ দবির উদ্দিন। তিনি জানান, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি জেলায় মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এই ৩৫ মামলার বাইরে ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার জেষ্ঠ্য বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ।

২০২০ সালের ৬ জুলাই রাজধানী উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়। এরপর হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা হয়।

১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেপ্তারের দাবি করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর