করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সশরীরে কার্যক্রমে ফেরার মাস-দুয়েকের মধ্যে আবার ভার্চুয়াল কার্যক্রমে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সব কাজ ভার্চুয়ালি চলবে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশক্রমে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন থেকে মঙ্গলবার বিকেলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে বুধবার হতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সকল বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
আপিল বিভাগও ভার্চুয়ালি পরিচালনা করতে পৃথক একটি বিজ্ঞপ্তিতে জারি করা হয়েছে।
এর আগে সকালে আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী জানান, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ভার্চুয়ালি আদালত পরিচালনার জন্য ভাবা হচ্ছে।
আগাম জামিনের পথ খোলা রেখে ভার্চুয়ালের পক্ষে বার
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উচ্চ আদালতে ফের ভার্চুয়ালি পরিচালনার পক্ষে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিও। তবে আগাম জামিনের পথ খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আমাদের অনেকজন বিচারপতি, অনেক আইনজীবী আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া, অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেবও আক্রান্ত হয়েছেন। সমিতির অনেক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধান বিচারপতি আজকে বলেছেন, আমাদের ভার্চুয়ালি যেতে হবে। এই ক্ষেত্রে সমিতির সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।’
‘আমরা সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতিকে যেটা বলেছি, এই অবস্থায় আদালত কীভাবে খোলা রাখা হবে সেটা সম্পূর্ণ সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের বিষয়। সুতরাং এটার সিদ্ধান্ত সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন স্বাধীনভাবে নেবে। আমাদের সহযোগিতার বিষয়ে আমরা যেটা বলেছি, বর্তমানে যেভাবে শারীরিকভাবে উপস্থিতিতে আদালতের বিভিন্ন ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন। তার যেন কোনোটাই খর্ব করা না হয়।’
ভার্চুয়াল কোর্টে একটা পর্যায়ে আগাম জামিন শুনানি স্থগিত ছিল। এটা যেন এবার না হয় প্রধান বিচারপতির কাছে সে দাবি করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী নেতা রুহুল কুদ্দুস।
তিনি বলেন, ‘আগাম জামিনসহ বর্তমানে শারীরিক উপস্থিতিতে যেভাবে আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, সেভাবেই যেন পরিচালিত হয়। দ্বিতীয়ত হচ্ছে আদালতের যে সময়সীমা সেটা অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ সময়সীমা যেন বিচার কাজে ব্যবহার করা হয়। আমরা এটা প্রধান বিচারপতিকে বলেছি।’