বাজারে টয়লেট নির্মাণ, পার্কিং ব্যবস্থাসহ পাঁচ দফা দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালন করছে রংপুর সিটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতি।
বাজারের সব দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সকাল ৬টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন রংপুরের সর্ববৃহৎ কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা। দুপুরে বাজারের সামনে সমাবেশ করছেন তারা।
দাবিগুলো হল আলাদা পুরুষ ও নারী টয়লেট নির্মাণ, গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গেট নির্মাণ, বাজারে পর্যাপ্ত লাইটিং এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা।
সিটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বর্ষার দিনে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হয়, এমনিতে প্রতিদিনের ব্যবহৃত পানিই নিষ্কাশন হয় না। ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের জন্য কোনো টয়লেট নেই, নেই কোন পার্কিং।
‘বিষয়গুলো নিয়ে একাধিকবার সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বসেছি। আশ্বাস এখনও আছে, কিন্তু কাজ হয় না। সে কারণে আমরা এই কর্মসূচি নিয়েছি।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন ছোট বাবু বলেন, ‘বাজারে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন এবং টয়লেট না থাকায় অনেক সমস্যা। আমরা চাই, এ সব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হোক।
সিটি বাজারের ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ সজীব বলেন, ‘ব্যবসায়ী নেতাদের সিদ্ধান্তে আমরা আজ দোকান খুলি নাই। সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’
এদিকে, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, ফলমূলসহ সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকায় বিপাকে পরেছেন সাধারণ ক্রেতারা। অনেকেই বাজার করতে এসে ঘুরে যাচ্ছেন।
সাত মাথা এলাকার সেকেন্দার আলী বলেন, ‘কিছু আপেল, খেজুর আর কাঁচাবাজার করার জন্য আসছি। এসে দেখি সব বন্ধ। এখন বাজার না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে। এখন অন্য কোথাও থেকে নিতে হবে। এটা আমাদের জন্য হয়রানি।’
মাহফুজা আক্তার নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আমি মাছ কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু বাজার বন্ধ। মাছ না কিনে ফিরে যাচ্ছি।’
নিউজাবংলাকে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘বাজারে ড্রেন তো আছেই। এ ছাড়া নতুন শেড তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিন সিটি করপোরেশনের ২৫ জন লেবার কাজ করে। আমি রংপুরের বাইরে আছি। তারা কেন আন্দোলন করছে, রংপুরে ফিরে বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলব।’