অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর তার স্বামী সাখাওয়াত নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে পুলিশ।
তাদের আটকের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক। তবে তাদের কোথা থেকে আটক করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখনও তাদের থানায় আনা হয়নি। তাদের নিয়ে অভিযান চলছে। তবে এখনও কোনো মামলা হয়নি। প্রক্রিয়াধীন আছে।’
তবে শিমুর ভাই সায়দুল ইসলাম খোকন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নোবেলের গাড়ির পেছনে রক্ত দেখতে পেয়ে তাকে ও সঙ্গে থাকা তার বন্ধু ফরহাদকে আটক করে কেরানীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। যেটার তদন্ত চলমান আছে। বেলা ২টায় ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।’
রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসিন্দা অভিনেত্রী শিমুকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে রোববার তার পরিবারের পক্ষ থেকে কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। সোমবার দুপুরে কেরানীগঞ্জ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রথমে অজ্ঞাত থাকলেও হাতের আঙুলের ছাপ ও পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে শিমুর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তার মরদেহ রাখা আছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু সালাম মিয়া বলেন, ‘সোমবার দুপুরের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে স্বজনরা এসে তাকে শনাক্ত করেছেন। প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।’
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় শিমুর অভিষেক হয়। পরে সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য নাটকেও অভিনয় করেছেন।
সম্প্রতি ফ্যামিলি ক্রাইসিস নামের একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন তিনি।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি কর্তৃক ১৮৪ জন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীর মধ্যে শিমুও ছিলেন। ভোটাধিকার ফিরে পেতে চলমান আন্দোলনে সোচ্ছার ছিলেন তিনি।