নীলফামারীর ডিমলায় এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ওই ছাত্রীর বড় ভাই। বর্তমানে সে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ১৫ বছরের সুজন ইসলাম ও ১৪ বছরের বুলু বাদশা। তাদের দুজনের বাড়িই চাপানি ইউনিয়নে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম।
এজাহারে বলা হয়, শিশুটির বাবা-মা চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বাড়িতে রেখে এক আত্মীয়ের জানাজায় যান। এ সুযোগে শিশুকে বাড়িতে একা পেয়ে ওই দুজন ধর্ষণ করেন। রাত ৮টার দিকে শিশুর বাবা-মা বাড়ি ফিরে মেয়েকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তখন প্রথমে তাকে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল হয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কুঞ্জকুলি রায় নিউজবাংলা বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে শিশুটিকে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই তাকে নীলফামারী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ডিমলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বদেব রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামিদের আদালতে তোলা হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’