স্বেচ্ছায় আন-অফিশিয়ালি আজীবন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে যাবেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার।
সোমবার এক বিদায়ী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতি এই ভালোবাসার কথা জানান রাষ্ট্রদূত মিলার। আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে মিলার সম্ভব হলে আবারও রাষ্ট্রদূত হয়ে বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি এটাও জানান, সরকারি চাকরি থেকে অবসরে চলে যাওয়ায় তা আর সম্ভব নয়।
তবে দ্বিতীয় বার এ দেশের রাষ্ট্রদূত হওয়ার সুযোগ না থাকলেও আন-অফিশিয়ালি (অলিখিতভাবে) এ দেশের রাষ্ট্রদূত হয়ে সারা জীবন কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে তিন বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন শেষে এ মাসেই ঢাকা ছাড়ছেন আর্ল মিলার। ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে শুরু করেছেন তিনি। ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিষয়ক কূটনীতিক পিটার হার্স। তিনি ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মিলার বলেন, ‘আমার চাকরি জীবনের এই শেষ অ্যাসাইনমেন্টটি ছিল সম্মানের। গত তিন বছর ধরে এ দেশে কাজ করতে পারা আমার জন্য অনেক সম্মানের। দারুণ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরছি।
'আমি এবং আমার পরিবারের প্রতি এ দেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি সম্মানিত, কৃতজ্ঞ।’
ঢাকার প্রতি তার পরিবারের ভালোবাসার কথা জানিয়ে মিলার বলেন, 'দুই মাস আগে ঢাকায় আসা তার ছেলে আলেকজান্ডার এন্ড্রো ঢাকা ছাড়ছে না। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে (ডব্লিউএফপি) সে কাজ নিয়েছে। আরও এক বছর ঢাকায় থাকবে সে।
অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহম্মেদ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। সংগঠনের সাবেক সভাপতি আফতাব-উল-ইসলাম বলেন, আর্ল মিলারের দায়িত্বকালে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নত হয়েছে। বাণিজ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন বিরোধ নিষ্পত্তি করেছেন তিনি। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানেও ভূমিকা রাখতে নতুন রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অবশ্য এ বিষয়ে বক্তব্যে কোনো কথা বলেননি আর্ল মিলার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অ্যামচেমের সাবেক দুই সভাপতি নুরুল ইসলাম এবং ফরেস্ট কুকসন বক্তব্য দেন।