কেরানীগঞ্জ থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর মরদেহ এখন ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
প্রথমে অজ্ঞাত থাকলেও হাতের আঙুলের ছাপ ও পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
সোমবার দিবাগত রাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু সালাম মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সোমবার দুপুরের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে স্বজনরা এসে তাকে শনাক্ত করেছেন। প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।’
শিমু ছিলেন রাজধানীর গ্রিনরোডের বাসিন্দা। কলাবাগান থানা পুলিশ জানিয়েছে, রোববার অভিনেত্রী শিমুর পরিবার একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করেন। মরদেহ উদ্ধারের পর অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
শিল্পী সমিতি কর্তৃক ১৮৪ জন ভোটাধিকার হারানো শিল্পীর মধ্যে শিমুও ছিলেন। ভোটাধিকার ফিরে পেতে চলমান আন্দোলনে সোচ্ছার ছিলেন তিনি।
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় শিমুর অভিষেক হয়। পরে সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য নাটকেও অভিনয় করেছেন।
সম্প্রতি ফ্যামিলি ক্রাইসিস নামের একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন তিনি।
মরদেহ উদ্ধার বিষয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান সোমবার মধ্যরাতে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে শিমুর ভাই আমাকে ফোন করেছিলেন। বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। শিমু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য। দীর্ঘ সময় তাকে সিনেমার অভিনয়ে দেখা যায়নি।’
জায়েদ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেন।