বরিশালে অটোরিকশার চালককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে বরখাস্ত হওয়া বিজিবি সদস্য শোয়েব হাওলাদার সবুজকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
হত্যায় সহযোগিতা করার দায়ে আরেক আসামি আলী আজিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে আসামিদের উপস্থিতিতে সোমবার বিকালে এ রায় দেন বিচারক টি এম মুসা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লস্কর নুরুল হক।
আসামি শোয়েব চুয়াডাঙ্গার বিজিবি সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাকে বরখাস্ত করা হয়।
যাকে হত্যার দায়ে আসামিরা সাজা পেয়েছেন, তিনি হলেন বরিশালের বানারীপাড়ার অটোরিকশাচালক জামাল খান।
২০১৫ সালের ১৫ জুন রাতে পাশের বাড়ির শোয়েবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। দুদিন পর তার মরদেহ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। সেদিনই শোয়েব ও তার বাবা-মা-ভাইয়ের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন জামালের ভাই আবুল কালাম খান।
তদন্তে জানা যায়, শোয়েবের সঙ্গে এলাকার এক নারীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলেন জামাল। এ নিয়ে জামালের সঙ্গে শোয়েবের ঝগড়া হয়। এর জেরেই তাকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ খালে ফেলে দেন শোয়েব। এরপর পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান।
গ্রেপ্তারের পর শোয়েব আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবির) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন চৌধুরী ২০১৬ সালের ১২ মার্চ শোয়েবসহ আটজনের নামে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন। অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় শোয়েবের বাবা-মা ও ভাইকে।
২৯ জনের সাক্ষ্য নেয়ার পর আদালত শোয়েবকে মৃত্যুদণ্ড এবং তার সহযোগী আলী আজমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়।
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অন্য আসামিদের খালাস দেয়া হয়।