ঢাকার সাভারে একটি মাদ্রাসার সীমানাপ্রাচীরের পাশ থেকে ১২ বছরের ছাত্রের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দাবি, দেয়ালে চড়তে গিয়ে পড়ে মারা গেছে ছেলেটি। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, মরদেহে একাধিক ক্ষত চিহ্ন আছে বলে মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকার জামিয়াতুল মুজাফ্ফর এতিমখানা মাদ্রাসার দেয়ালের পাশ থেকে সোমবার দুপুরে মরদেহ পাওয়া যায় বলে জানান অধ্যক্ষ। তবে পুলিশ সন্ধ্যায় খবর পেয়ে গিয়ে মরদেহ পায় বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে।
মৃত ছেলেটির নাম আরাফাত হোসেন। তার বড় ভাই আবুল হাসানও ওই এতিমখানায় থাকেন। তার বাড়ি রাঙ্গামাটির কলেজগেট ভান্ডারি পাহাড় এলাকায়।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ শায়েখ মোহাম্মদ খালিদ হোসাাইন সাইফি জানান, সকাল থেকেই আরাফাতকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে বিষয়টি জানানো হয় ১০টার দিকে। তিনিসহ এতিমখানার সবাই মিলে খুঁজতে বের হন। একপর্যায়ে পূর্ব দিকের সীমানাপ্রাচীরের পাশে আরাফাতকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে তারা আরাফাতকে বাংলাদেশ কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অধ্যক্ষ আরও জানান, আরাফাত প্রতিদিন একটি গুইসাপকে দেয়ালের ওপর দিয়ে খাবার দিত। সেটি করতে গিয়ে হয়তো সে দেয়াল থেকে পড়ে গেছে।
হাসপাতালের জরুরি চিকিৎসা কর্মকর্তা (ইএমও) এ বি এম আব্দুল্লাহ জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই মাদ্রাসার কয়েকজন ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে হাসপাতালে আনার কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন আছে। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় পুলিশকে জানানো হয়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূরুল ইসলাম জানান, মরদেহ সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে ছেলেটির বাড়িতে খবর দেয়া হয়েছে। স্বজনরা এলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।