বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগ-বিএনপির কমলেও ভোট বেড়েছে ইসলামী আন্দোলনের

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৩৪

টানা তৃতীয় জয় পাওয়া সেলিনা হায়াৎ আইভী গতবারের তুলনায় ভোট কম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫১৪টি। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আগেরবারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় ভোট কম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৭৮টি। তবে তৃতীয় হওয়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাছুম বিল্লাহর ভোট বেড়েছে ১০ হাজার ৭৩টি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টানা তৃতীয় জয় পাওয়া সেলিনা হায়াৎ আইভীর ভোট কমেছে। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীও পাঁচ বছর আগের দ্বিতীয় হওয়া প্রার্থীর তুলনায় ভোট পেয়েছেন কম। তবে তৃতীয় হওয়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাছুম বিল্লাহ দেখিয়েছেন চমক।

রোববারের ভোটে পাঁচ বছরের আগের চেয়ে কম হারে ভোট পড়লেও হাত পাখা মার্কা নিয়ে চরমোনাইয়ের দলের প্রার্থী আগের নির্বাচনের চেয়ে ৭২ শতাংশ ভোট বাড়াতে পেরেছেন।

মাছুমের হাত পাখা মার্কায় ভোট পড়েছে ২৩ হাজার ৯৮৭টি। ২০১৬ সালের দ্বিতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছিলেন ১৩ হাজার ৯১৪টি। অর্থাৎ ভোট বেড়েছে ১০ হাজার ৭৩টি।

তবে এই নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী গতবারের তুলনায় ভোট কম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫১৪টি। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আগেরবারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় ভোট কম পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৭৮টি।

সেই সঙ্গে কমেছে ভোটের হার। ২০১৬ সালের নির্বাচনে মোট ভোটারের ৬২ দশমিক ২২ শতাংশ ভোট দেন, এবার তা কমে হয়েছে ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ।

২০১৬ সালে আইভীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে সাখাওয়াত হোসেন খান। এবার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার, যিনি স্বতন্ত্র প্রতীকে ভোটে দাঁড়ান তার দল ভোট বর্জন করায়। তবে এই নির্বাচনটি শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লড়াইয়েই পরিণত হয়।

আওয়ামী লীগ ও ‘বিএনপির’ কমলেও তুলনায় ইসলামী আন্দোলনের বাক্সে ভোট প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার পরও দলটি এই নির্বাচন নিয়ে পুরোপুরি খুশি নয়। তাদের দাবি, তারা যে ভোট পেয়েছে, তার দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ ভোট পেতে পারতেন।

দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত নির্বাচনের চেয়ে আমাদের ভোট বেড়েছে। এটা অবশ্যই ভালো দিক। তবে আমাদের হিসাব মতে আমরা দ্বিগুণের বেশি ভোট পাওয়ার কথা। আমরা যেভাবে কাজ করেছি, যেভাবে আমাদের সমর্থক রয়েছে তাতে আমরা ৬০-৭০ হাজার ভোট পেতে পারতাম।’

তাহলে কেন পেলেন না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোটাররা ঠিকমতো ভোট দিতে পারেনি। অনেকে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে, তাদের আঙুলের ছাপ দেয়ার পর অন্যজন ভোট দিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া প্রশাসনও পর্যাপ্ত প্রভাব খাটিয়েছে। না হলে আমাদের ভোট আরও বাড়ত।’

এ বিভাগের আরো খবর