বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘শিক্ষার্থীরা নয়, উপাচার্যকেই শাবি ছাড়তে হবে’

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:২১

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব বলেন, ‘প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে রাতে ক্যাম্পাসে থাকলে আমাদের নিরাপত্তার দায় তারা নেবেন না। তারা তো দিনেই আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেননি। বরং পুলিশ দিয়ে আমাদের পিটিয়ে আহত করেছেন। ফলে তাদের কাছে আমরা নিরাপত্তা চাই না। বরং তাদের পদত্যাগ চাই।’

উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর বোমা মেরেছে এমন অভিযোগ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘যারা বোমা মারে ও বোমা মারার নির্দেশ দেয় তাদের কাছে এই ক্যাম্পাস নিরাপদ না। আমরা এই লোকদের হাতে ক্যাম্পাস রেখে চলে যেতে পারি না।’

তাদের বক্তব্য, ‘শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছাড়বে না বরং উপাচার্যকে এই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যেতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ছাড়তে প্রশাসনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এমন কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের পর রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন। সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

তবে এদিন সকাল থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেলে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তারা।

উপচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের হল ছেড়ে যেতে প্রশাসন চাপ দিচ্ছে।

সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে অবস্থান করলে তাদের নিরাপত্তা দেয়া হবে না বলেও হল প্রভোস্টের পক্ষ বলা হয়েছে এমন অভিযোগ করে লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র মোসাদ্দেক মিম বলেন, ‘এই উপাচার্যের নির্দেশে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রক্টর, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টার সামনেই আমাদের মারধর করেছে।’

তিনি বলেন, ‘যারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন, ক্যাম্পাসে বোমা মারার নির্দেশ দেন তাদের হাতে আমাদের ক্যাম্পাস নিরাপদ নয়। তাদের কাছে ক্যাম্পাস ফেলে রেখে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যেতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই আমরা ক্যাম্পাস ছাড়ব না। বরং উপাচার্যসহ তার সঙ্গীদের ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে।’

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব বলেন, ‘প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে রাতে ক্যাম্পাসে থাকলে আমাদের নিরাপত্তার দায় তারা নেবেন না। তারা তো দিনেই আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেননি। বরং পুলিশ দিয়ে আমাদের পিটিয়ে আহত করেছেন। ফলে তাদের কাছে আমরা নিরাপত্তা চাই না। বরং তাদের পদত্যাগ চাই।’

উপাচার্যের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।

উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। উপচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশকেও ওই এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টে কারও গাফিলতি পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থিতিশীলতার স্বার্থে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।’

রোববার পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করবে বলেও জানান রেজিস্ট্রার।

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। উপচার্যের পদত্যাগ দাবিতে গণস্বাক্ষরও সংগ্রহ করছেন তারা। এই গণস্বাক্ষর রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এর আগে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা ঢুকে পড়েছে। আন্দোলনে তারাই ইন্ধন দিচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর