বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ করপোরেশন আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
জাতীয় সংসদ ভবনে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকের পর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এটা ১৯৮৬ সালের একটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছিল। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর এটাকে আইনে রূপান্তর করা হয়েছে। এই আইনে ৩৪টি ধারা রয়েছে।
‘এ বিষয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থাকবে। সেই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ করপোরেশন হিসেবে নামকরণ করা হবে। এটার অথরাইজড ক্যাপিটাল থাকবে ৫ হাজার কোটি টাকা। আর পেইডআপ ক্যাপিটাল থাকবে ২০০ কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, ‘এই অথরাইজড ও পেইডআপ ক্যাপিটাল পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে পারবে, যদি সরকার মনে করে প্রয়োজন। এখন হয়তো ৫ হাজার কোটি টাকা অনেক মনে হচ্ছে, কিন্তু ৫ বছর পরে হয়তো মনে হবে ১০ হাজার কোটি টাকা রাখতে হবে। সেটা বিধির মধ্য দিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে আইনে আর হাত দিতে না হয়।
‘করপোরেশনের একটি পরিচালনা পরিষদ থাকবে। সেখানে একজন চেয়ারম্যান ও আটজন পরিচালক থাকবে। যারা পরিচালক তাদের ৫ জন এখানে থাকবে। আর সরকার দুইজন যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে পারবে। অতিরিক্ত সচিব বা ওই পদমর্যাদার কেউ চেয়ারম্যান হবেন। এটা একটি টেকনিক্যাল বিষয়। তাই যদি তেমন ভালো ব্যক্তি পাওয়া যায়, তাকেও সরকার নিয়োগ দিতে পারবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বোর্ডের কোরাম হতে গেলে অন্তত ৫ জনের উপস্থিতি লাগবে। একটি বিধিবদ্ধ উন্নয়ন তহবিল থাকবেভ সেটা ফি্ন্যান্সিয়াল রুলস অনুযায়ী পরিচালিত হবে। করপোরেশন প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে।
‘তাদের একটি অ্যাকাউন্ট থাকবে, সেটা নিয়মিত অডিট করাতে হবে। প্রত্যেক বছরই একটি প্রতিবেদন সরকারকে দিতে হবে।’