বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৈমূরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩৯

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওনাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে। দল যদি মনে করে তার জায়গা ফেরত দেবে, সেটা তো আর আজ বললে কালই হবে এমন না। দলীয় ফোরামে এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত আসবে। এটা এক লাইনে বলে দেয়ার মতো ঘটনা না।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে হেরে গেছেন তৈমূর আলম খন্দকার। এর মধ্য দিয়ে একদিকে তার মেয়র হওয়ার স্বপ্ন ভেঙেছে, অন্যদিকে হারিয়েছেন নিজ রাজনৈতিক দল বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ। এমন বাস্তবতায় আলোচনায় উঠে এসেছে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। কোন পরিকল্পনা নিয়ে এগোবেন- সেই প্রশ্নও সামনে এসেছে।

নির্বাচনের আগে ও পরে তৈমূর জাানিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে তার সম্পর্ক কখনো ছিন্ন হবে না। এমন বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে বিএনপির সঙ্গেই থাকতে চান তিনি। তবে কেড়ে নেয়া পদ ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি বিএনপির হাইকমান্ড গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেবে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর কাছে পরাজিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ৬৬ হাজার ৯৩১ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন তিনি।

অন্যদিকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তৈমূর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় বিএনপি। কিছুদিন আগে তৈমূর হারান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ। তিনি এখন কেবলই রাজনৈতিক দল বিএনপির একজন সদস্য।

নির্বাচনের আগে নিউজবাংলাকে তৈমূর জানিয়েছিলেন, দল কৌশলগত কারণে তার পদ কেড়েছে; তার প্রতি দলের সমর্থন রয়েছে। যাই হোক না কেন, দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক কখনো ছিন্ন হবে না। রোববারের ভোটে হেরেও তিনি একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন- বিএনপি তার রক্তের সঙ্গে মিশে আছে।

ভোটের ফল প্রকাশের পর রোববার রাতে সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর বলেন, ‘রাজনীতি করতে গেলে দল লাগে, কিন্তু পদ-পদবি লাগে না; তৈমূর আলম খন্দকারের কোনো পদ লাগবে না। আমার রক্তের সঙ্গে বিএনপি মিশে আছে। আমি বিএনপির রাজনীতিই করে যাব।’

নিজ বাড়িতে ওই সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর জানান, কয়েকটি কারণে তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম দুটি কারণ ছিল দলের মহাসচিবের বক্তব্য ও নির্বাচন নিয়ে দলের অতীত কৌশল।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন- বিএনপি দলগতভাবে স্থানীয় কোনো নির্বাচনে যাবে না। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেউ যদি যেতে চায় তাহলে যেতে পারে; আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তো বিএনপি প্রার্থীকে ভোটের আগে দল বসে যেতে বলেছিল। কিন্তু তিনি বসেননি। নির্বাচনে জেতার পর দল তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছিল।’

তৈমূর আলমের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেখুন, উনি হেরেছেন কিংবা জিতেছেন তার ওপর ভিত্তি করে তো দল কাউকে বিচার করে না। আর লড়াই করতে হলে জয়ের আনন্দের পাশাপাশি হারটাকেও একসেপ্ট করতে হবে।

‘ওনাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে। দল যদি আবার মনে করে তার জায়গা ফেরত দেবে, সেটা তো আর আজ বললে কালকেই হবে এমন না। দলীয় ফোরামে এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। পুনর্বিবেচনা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত আসবে। এটা এক লাইনে বলে দেয়ার মতো ঘটনা না।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ওনাকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত, হাইকমান্ড হয়ে সেসব সিদ্ধান্ত আসে। এখন উনি হেরেছেন। সেটা এক প্রকার দুঃখজনকই বটে। তবে এই সরকার বরাবরের মতোই অনিয়ম আর চুরি না করলে ঘটনা অন্য রকম হতো।

‘তবে বিএনপি বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত ভাবেনি। যদি কিছু ভাবে, তার জন্য সময় আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর