বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দর্জি মনিরের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল

  •    
  • ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৫:২৫

সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার কথা ছিল। তবে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেন।

‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’ নামে ভুঁইফোঁড় সংগঠনের সভাপতি পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় মনির খান ওরফে দর্জি মনিরের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদেন জমার নতুন তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে আদালত।

সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার কথা ছিল। তবে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেন।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন দর্জি মনিরের আইনজীবী মো. আমানুল করিম লিটন।

চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে কামরাঙ্গীরচর থানায় গত বছরের ৩ আগস্ট মামলাটি করেন ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। পরদিন দর্জি মনিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর দর্জি মনিরকে চার দিনের জন্য রিমান্ডেও পাঠানো হয়েছিল। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা পরিচয় দেয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের পর দর্জি মনিরের বিষয়টিও সামনে চলে আসে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, একটি ছোট দর্জির দোকানে চাকরি করতেন মনির। হঠাৎ করে নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার বন্ধু হন। একেক সময় একেক রাজনৈতিক পদবি, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে নিজের ছবি ফটোশপে নিখুঁতভাবে এডিট করে পাশে নিজের ছবি বসাতেন মনির। নিজেকে ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দাবি করতেন।

ভুঁইফোঁড় এ সংগঠনের ঢাকা মহানগরী এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা বাগিয়ে নেয়ারও অভিযোগ আছে দর্জি মনির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ জুলাই বেলা আড়াইটার দিকে কামরাঙ্গীরচর থানার মাদবরবাজার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে মনির তার সংগঠনের পদ প্রদান ও বড় বড় নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক করিয়ে দেয়ার নাম করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

মামলায় আরও বলা হয়, দর্জি মনির ফেসবুকে নিজেকে ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার করে এলাকায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সৃষ্টি করেন। ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। অনেকের মুখে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, হঠাৎ করে কে এই দর্জি মনির? তাকে কেনইবা শেখ হাসিনা চিনতে যাবেন।

এ বিভাগের আরো খবর