কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে কৃষককে পিটিয়ে হত্যায় এক নারী ও তার তিন ছেলেসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। খালাস পেয়েছেন তিনজন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খানের আদালত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহ আজিজুল হক নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন কটিয়াদী উপজেলার উত্তর ভূনা এলাকার ৬০ বছর বয়সী মজবানু, তার তিন ছেলে ৪৩ বছর বয়সী বাচ্চু মিয়া, ৩৩ বছর বয়সী ফেরদৌস মিয়া ও ৩২ বছর বয়সী সাফেক মিয়া এবং একই এলাকার ৩৩ বছর বয়সী মো. জোবায়ের ও ৩৫ বছর বয়সী ফারুক মিয়া। তাদের মধ্যে বাচ্চু মিয়া পলাতক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০১৭ সালের ২৬ জুন বিকেলে আসামিরা দুলাল মিয়ার বাড়িতে ঢুকে তাকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। দুলালকে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার এক দিন পর দুলালের স্ত্রী নাজমা আক্তার বাচ্চু মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই থেকে তিনজনকে এই মামলার আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর নয়জনের নামে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
আইনজীবী শাহ আজিজুল হক জানান, আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে। বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এম এ রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। রায় আইনসম্মত হয়নি। এখানে একজন ষাটোর্ধ্ব নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগেরও সত্যতা মেলেনি। উচ্চ আদালতে গেলে আমরা ন্যায়বিচার পাবো বলে মনে করি।’