পুলিশের হামলা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ভাইস-চ্যান্সেলরের (ভিসি) নির্দেশেই পুলিশ হামলা ও গুলি চালিয়েছে।
রোববার রাত ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে। এতে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এর আগে রাত ৮টার দিকে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেন ভিসি। সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
তিন দফা দাবিতে রোববার বিকালে আন্দোলনকারীরা ভিসিকে অবরুদ্ধ করলে সন্ধ্যায় অ্যাকশনে যায় পুলিশ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে পুলিশ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে একদল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে অবস্থা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ ভিসির নির্দেশেই পুলিশ হামলা ও গুলি চালিয়েছে।
এই বিক্ষোভের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ছাড়ার নির্দেশনা আসে। এমন নির্দেশনার পরপরই বিক্ষোভ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় তারা ‘পরীক্ষা কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হল কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কেন বন্ধ, প্রশাসন জবাব চাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শাহপরান হল ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলের কিছু আবাসিক শিক্ষার্থীও এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। পরে তারা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে চলে যান।
রাত ৯টার পর বিক্ষোভকারীরা প্রধান ফটক ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরাও এসে যোগ দেন এই বিক্ষোভে। তারা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
রাত ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সায়েম আহমদ বলেন, ‘উপাচার্যের নির্দেশেই আজ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও হল ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আচমকা হল ছাড়ার নির্দেশে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। এমনিতেই করোনার কারণে শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত, তার ওপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণায় শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়বে। আমরা এসব অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মানি না।’
শিক্ষার্থী মেহরাব হােসেন কায়েস বলেন, ‘আজকের ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে যে এই উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় অযোগ্য। যিনি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশনা দিতে পারেন, তিনি কোনোভাবেই উপাচার্য পদে থাকতে পারেন না। আমরা তার পদত্যাগ চাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, ‘‘উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরাই সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সবাইকে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়তে হবে।’
প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন
প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আন্দোলনে নামে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের ছাত্রীরা। রোববার আন্দোলনের চতুর্থ দিনে এসে তা সহিংস রূপ নেয়।উপচার্যকে ধাওয়া ও অবরুদ্ধ, আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলার পর পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এর জের ধরে রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেন ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। একইসঙ্গে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
যার পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করেন সিরাজুন্নেসা হলের সেই প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা পদত্যাগ করেছেন বলেও জানান উপাচার্য। তার স্থলে বিশ্বদ্যিালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরীকে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ
শাবি ছাত্রীদের আন্দোলনের তৃতীয় দিনে শনিবার সন্ধ্যায় হামলার অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনকারী ছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। যদিও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এই হামলার প্রতিবাদ ও তিন দফা দাবি আদায়ে রোববার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসের গোল চত্বর ও প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। কিছু ছাত্রও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা।
দুপুরের দিকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের নিয়ে নিজ কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন ভিসি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রক্টর আলমগীর কবীরসহ কয়েকজন শিক্ষক আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
শিক্ষকরা জানান, উপাচার্য তাদের সব দাবি মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন। তবে এ জন্য এক সপ্তাহের সময় চেয়েছেন তিনি।
তবে ছাত্রীরা এমন আশ্বাস না মেনে স্লোগান শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর তারা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন।
অবরুদ্ধ উপাচার্য
ছাত্রীরা যখন মিছিল করছিলেন তখন বাসভবনে যাওয়ার জন্য নিজ কার্যালয় থেকে বের হন ভিসি। তিনি বের হয়ে যাচ্ছেন এমন খবর আন্দোলনকারীদের কাছে পৌঁছার পর তারা সেখানে ছুটে যান। আন্দোলনকারীদের কয়েকজন উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা ভিসিকে ঘিরে ধরে ড. ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের ভেতরে নিয়ে যান।
শিক্ষকদের অভিযোগ, আন্দোলনকারীরা ভিসিকে ধাওয়া করলে তিনি আইআইসিটি ভবনে আশ্রয় নেন।
তবে ছাত্রীদের দাবি, ধাওয়া নয় বরং ভিসির সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু উপাচার্য তাদের কথা না শুনে দৌড়ে আইআইসিটি ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন।
ভিসি আইআইসিটি ভবনের ভেতরে প্রবেশের পর ওই ভবনের ফটকের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বেলা ৩টার দিকে তারা ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ভিসি। শিক্ষার্থীরা ওই ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনস্থলে পুলিশের অবস্থান, উত্তেজনা
বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনস্থলে যায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য আইআইসিটি ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হামলা এড়াতে এ সময় আন্দোলনকারীরা হাতে ফুল নিয়ে পুলিশকে স্বাগত জানায়। দীর্ঘক্ষণ পুলিশ নীরব অবস্থানেই ছিল।
শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ
শিক্ষকরা আলোচনার মাধ্যমে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ভিসিকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হলে অ্যাকশনে নামে পুলিশ। সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে এগিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষে ধাক্কাধাক্কি লেগে যায়। পরে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশের লাঠিচার্জে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক পিছু হটলেও পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ পর্যায়ে পিছু হটে পুলিশ। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এ সময় ক্যাম্পাসজুড়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তখন গুলির ঘটনাও ঘটে।
গুলিতে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ। মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহর আলী শেখসহ ১০ পুলিশ সদস্যও আহত হন। আহত হন শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্তত ৫০ জন। শিক্ষার্থীদের কয়েকজন রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ চলাকালে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরও লাঠিপেটা করে পুলিশ। তাদেরও কয়েকজন আহত হন।
আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার পর ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে নিজ বাসভবনে নিয়ে যান পুলিশ ও শিক্ষকরা।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহর আলী শেখ বলেন, ‘আমরা হামলা করিনি। আমরা উপাচার্যকে মুক্ত করে আনতে গিয়েছিলাম। শিক্ষার্থীরাই আমাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
‘সংঘাত থামাতে পুলিশ ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।’
এই অবস্থার জন্য শিক্ষার্থীদেরই দায়ী করেছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে ধাওয়া করে অবরুদ্ধ করার মাধ্যমে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তারা শান্তিপূর্ণ আলোচনার সব প্রস্তাব নাকচ করেছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
সংঘর্ষের পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে ক্যাম্পাসে নিজ বাসভবনে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডাকেন উপাচার্য।
সিন্ডিকেট বৈঠক শেষে রাত ৮টার দিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা করেন তিনি। শিক্ষার্থীদের সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেন উপাচার্য।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘যার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছিল সেই প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা পদত্যাগ করেছেন। তার পরিবর্তে বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরীকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা হলেও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম চলবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় আমরা বিপাকে পড়েছি। হুট করে ১২টার মধ্যে কোথায় যাব? করোনার কারণে এমনিতেই আমাদের শিক্ষাজীবন সংকটে। এখন হল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণে আরও সমস্যায় পড়ব।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ সামিউল ইসলাম জানান, এটা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত; তাদের কিছু করার নেই।
সিদ্ধান্ত না মেনে কোনো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।