বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় লিজা খাতুন নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় লিজার স্বামী সোহেল রানাকেও আটক করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ৭০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে লিজাকে মারধর করে হত্যা করেছেন সোহেল। তিনি পেশায় লোকাল বাসের কন্ডাক্টর।
শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের কাফুরা পূর্বপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে রোববার দুপুরে লিজার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের ভাতারিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তিন বছর আগে সোহেল ও লিজার বিয়ে হয়। তবে সোহেলের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আগের স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হলে লিজাকে বিয়ে করেন তিনি। রাহিম নামে তাদের ১০ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে।
অভিযোগ করা হচ্ছে, লিজাকে তার স্বামী সোহেল প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে চাপ দিতেন। বাধ্য হয়ে লিজা প্রায়ই বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে সংসারে খরচ করতেন। বিষয়টি নিয়ে তারা মাঝেমধ্যেই বাকবিতণ্ডায়ও জড়াতেন।
স্থানীয়দের বরাতে শেরপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে সোহেল তার স্ত্রী লিজার কাছে ৭০ টাকা দিয়ে রোববার সকালে তা ফেরত চান। কিন্তু লিজা তাকে বলেন- টাকা খরচ হয়ে গেছে। টাকা খরচের কথা শুনেই লিজার সঙ্গে সোহেলের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে লিজাকে মারধর শুরু করেন তিনি। পরে দুপুরে পরিবারের সদস্যরা লিজার ঘরে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
ওসি আরও জানান, উদ্ধারের সময় লিজার মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ছিল। ওই ঘরের খাটের উপরই বসে ছিলেন সোহেল। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে এবং সোহেলকেও আটক করে।
ওসি বলেন, ‘মরদেহটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। লিজার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’