বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩১ জানুয়ারি ‘বিশ্বাসঘাতকতা দিবস’ পালন করবে ভারতের কৃষকরা

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:২২

ভারত সরকার এক চিঠিতে কৃষকদের দাবি পূরণে বেশকিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর ভিত্তিতে কৃষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করলেও প্রতিশ্রুতি রাখেনি সরকার। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ৩১ জানুয়ারি দেশব্যাপী ‘বিশ্বাসঘাতকতা দিবস’ পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

ভারত সরকার বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি সংবলিত চিঠি দিয়ে চলমান কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিল। সংযুক্ত কিষান মোর্চাকে গত ৯ ডিসেম্বর ওই চিঠি দেয়া হয়। ওই চিঠির ভিত্তিতেই ১৩ মাসের কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহার করে কিষান মোর্চা। কিন্তু চিঠিতে দেয়া প্রতিশ্রুতির একটিও পালন করেনি সরকার। হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সংযুক্ত কিষান মোর্চা আগামী ৩১ জানুয়ারি দেশব্যাপী ‘বিশ্বাসঘাতকতা দিবস’ পালন করবে।

দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমান্তের কাছে কাজারিয়া গ্রামে শনিবার অনুষ্ঠিত কিষান মোর্চার বৈঠকে উপস্থিত ছিল শতাধিক কৃষক সংগঠন। গত ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহারের পর এটাই ছিল সংগঠনটির প্রথম বৈঠক। ওই বৈঠক থেকে চলমান ‘মিশন উত্তরপ্রদেশ’ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কিষান মোর্চা এক বিবৃতিতে বলেছে, লখিমপুর খেরি হত্যাকাণ্ডে সরকার ও বিজেপির নির্লজ্জ মনোভাব থেকে এটা স্পষ্ট যে তারা জনগণের মর্যাদাকে পাত্তা দেয় না। বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টে ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করা সত্ত্বেও এই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী অজয় মিশ্র টেনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় থেকে কৃষকদের ক্ষতে লবণ দিচ্ছেন।

অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই ঘটনায় কৃষকদের জড়িত করতে ও গ্রেপ্তার করতে তৎপর। এর বিরোধিতা করতে লখিমপুর খেরিতে স্থায়ী অবস্থান বিক্ষোভের ঘোষণা করবে সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা। সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ‘মিশন উত্তরপ্রদেশ’ চলবে। এর মাধ্যমে এই কৃষকবিরোধী রাজনীতিকে উচিত শিক্ষা দেয়া হবে।

কাজারিয়া গ্রামের ওই বৈঠকে কৃষক নেতারা পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে মোর্চার অংশগ্রহণ সম্পর্কে চলতে থাকা বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে- সংযুক্ত কিষান মোর্চা প্রথম থেকেই একটি সীমাবদ্ধতা তৈরি করেছিল যে কোনো রাজনৈতিক দল মোর্চার নাম, ব্যানার বা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবে না। নির্বাচনেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

সম্মিলিত কিষাণ মোর্চার সঙ্গে যুক্ত যে কোনো কৃষক সংগঠন বা নেতা, যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বা নির্বাচনে যে কোনো দলের হয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন, তারা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চায় থাকবেন না। প্রয়োজনে এই বিধানসভা নির্বাচনের পর এপ্রিল মাসে এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করা হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো আগামী ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি চারটি শ্রমবিরোধী কোড প্রত্যাহারের পাশাপাশি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবিতে এবং বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। কিষান মোর্চা গ্রামীণ ধর্মঘটের আকারে এই আহ্বানকে সমর্থন ও সফল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর