বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রশাসন, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইভিএমে পরাজয়: তৈমূর

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৪১

স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘ইভিএমে আমার একদমই ভরসা নেই। কারণ এটা খুব স্লো, মাঝে মাঝে কাজও করে না, হ্যাং হয়ে যায়। মানুষ ভোট দিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসেছিল। কিন্তু ইভিএম জটিলতায় তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে ভোট দিতে পারেনি।’

প্রশাসন, ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারণে পরাজয় হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। ফল প্রকাশের পর রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছেন তিনি।

তৈমূর বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এজেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই ক’দিনে মোট আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিটি নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের তিনটি ভাগ হল নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ আর বন্দর। সিদ্ধিরগঞ্জ আর বন্দরের আমার দুই নির্বাচনী সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়। আমার চিফ এজেন্টের বাসায় প্রশাসন তল্লাশি চালায়। এতেই তো বোঝা যায় তারা কেমন সুষ্ঠু নির্বাচন দিল।

‘ঢাকা থেকে মেহমানরা এসে আমার বিরুদ্ধে নানা কথা বলেছে, তারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। নানক সাহেব বলেন- ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি। এরপরই আমার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়। এসবের পরতো আপনারা বুঝতেই পারছেন কেমন নির্বাচন হয়েছে।’

স্বতন্ত্র এই প্রার্থী বলেন, ‘ইভিএমের ওপর আমার একদমই ভরসা নেই। কারণ এটা খুব স্লো, মাঝে মাঝে কাজও করে না, হ্যাং হয়ে যায়। মানুষ ভোট দিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসেছিল। কিন্তু ইভিএম জটিলতায় তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে ভোট দিতে পারেনি।

‘আজ আমার পরাজয় হয়েছে প্রশাসন, ইঞ্জিনিয়ারিং আর ইভিএমের কারণে। পুরো নির্বাচনে খেলা হয়েছে সরকার ভার্সেস তৈমূর আলম খন্দকার।

‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করেছিলাম। এখন উনিই নিজের বিবেকের কাছে জবাব দিন কী করেছেন।’

মেয়র হতে পারলেন না, অন্যদিকে দলও আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল, এখন ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা কি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি পরাজিত হইনি, হয়েছে সরকার। মানুষ দেখেছে সুষ্ঠু ভোটের নামে সরকার কী করেছে। আর পদ-পদবি দিয়ে রাজনীতি হয় না। বিএনপির সঙ্গে আমার রক্তের সম্পর্ক, এই সম্পর্ক কখনোই ছিন্ন হবে না, আমি বিএনপির সঙ্গে আছি, থাকব।’

নতুন মেয়রকে অভিনন্দন জানাবেন কিনা এবং সিটি করপোরেশন পরিচালনায় তাকে সহযোগিতা করবেন কিনা জানতে চাইলে তৈমূর বলেন, ‘আমি সবসময় তাকে সহযোগিতা করে এসেছি কিনা তা তাকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন। এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।’

তৈমূর বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, বিএনপি দলগতভাবে স্থানীয় কোনো নির্বাচনে যাবে না; তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেউ যদি যেতে চায় তাহলে যেতে পারে। আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। এরপর থেকেই বিভিন্ন সেক্টর থেকে নানাজন আমাকে চাপ দিতে থাকেন যেন আমি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। একজন নির্বাচন কমিশনারও বলেছিলেন যে এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম।’

নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন, এবারো মাঝপথে বসে যাবো কিনা। ২০১১ সালের নির্বাচনে আমি বসিনি, আমার দল বসে গিয়েছিল। কুমিল্লার মেয়র নির্বাচনেও মেয়র প্রার্থীকে দল বসে যেতে বলেছিল। তিনি বসেননি। পরে আবার দল তাকে মালা দিয়ে বরণ করে নেয়। ২০১৬ সালে দল আমাকে নমিনেশন দিয়েছিল। কিন্তু আমি করিনি। এবার শেষ পর্যন্ত ভোটে থেকে মানুষের কথার জবাব দিলাম।’

এ বিভাগের আরো খবর