বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসি গঠনে আইন করার পরামর্শ বিদেশি কূটনীতিকদের

  •    
  • ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৩০

বৈঠক সূত্র জানায়, ইভিএমসহ নির্বাচনি পদ্ধতিতে কী পরিবর্তন আসতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন কূটনীতিকরা। বিশেষ করে কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, সে বিষয়ে জোর দেন তারা। কমিশন গঠনে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইন করার তাগিদ দেয়া হয় বিদেশি কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে দ্রুত আইন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিদেশি কূটনীতিকরা। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরকারের ভাবনা জানতে চেয়েছেন তারা।

রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রোববার সকালে ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানেই আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চান কূটনীতিকরা।

নতুন বছরের শুরু উপলক্ষে আয়োজিত এ বিফিংয়ে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে সহিংসতার পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও উদ্বেগ জানান কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা।

এই ব্রিফিংয়ের কথা আগে থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো না হলেও রোববার সন্ধ্যায় একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ব্রিফিংয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সব বিদেশি মিশনপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাংলাদেশের পক্ষে এতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন; পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম; আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০ জন বিদেশি কূটনীতিক যোগ দেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, ইভিএমসহ নির্বাচনি পদ্ধতিতে কী পরিবর্তন আসতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন কূটনীতিকরা। বিশেষ করে কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে, সে বিষয়ে জোর দেন তারা। কমিশন গঠনে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইন করার তাগিদ দেয়া হয় বিদেশি কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে।

এর আগে ২০১৭ সালের শুরুতে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা।

বৈঠকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কয়েক দেশের কূটনীতিকরা। বিষয়টি নিশ্চিতে সরকারের শক্ত অবস্থানের পরামর্শও দেন তারা।

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে কূটনীতিকদের পরামর্শ সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক টেলিফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারা কী বলল বা না বলল, তার থেকে বেশি জরুরি আমাদের জনগণ কী বলল। দেখেন না, অপেক্ষা করেন, কাল-পরশু পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে কূটনীতিকদের উদ্বেগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের যা বলেছি, তা পাবলিকলিও বলেছি। ইতোমধ্যেই এগুলো বলেছি।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যা বলছে

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সমুন্নত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংক্ষিপ্তভাবে চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন। দেশে এই প্রথম ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি ইঙ্গিত দেয় যে কাচের সিলিং ফাটতে শুরু করেছে। আমরা জনগণের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের অধিকারের উন্নয়ন ও সুরক্ষার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।’

ব্রিফিংয়ে এলজিআরডি মন্ত্রী চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিভিন্ন ধাপ ও ফলাফল সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করেন। তিনি জানান, এসব নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

কূটনীতিকদের উদ্দেশে ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী নির্বাচন কমিশন গঠনের পদ্ধতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের বিষয় তুলে ধরেন। তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার বা অপপ্রয়োগ ঠেকাতে সরকার চেষ্টা করছে।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন সম্পর্কে কূটনীতিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের নজির তুলে ধরা হয়।

ব্রিফিংয়ে দেশের ব্যবসায়িক অংশীদারদের ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।

এ বিভাগের আরো খবর