ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় আরও দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রহমান ছিদ্দীকি রোববার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ ছাড়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ ঠিক করেছে আদালত।
এর আগে দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামি নাহিদুল ইসলাম ও সোনিয়া আক্তারকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) হাফিজুর রহমান।
মামলার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত দুই আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।
আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে একই মামলায় সাত বিদেশিকে রিমান্ড শেষে শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে যাওয়া সাত বিদেশি হলেন ওডেজে ওবিন্না রিবেন, নটোম্বিকনা, ইফুইন্নয়া ভিভান, সানডে ইজিম, চিনেডু নিয়াজি, কোলিমন্স তালিকে ও চিঢিম্মা ইলোফোর। এদের মধ্যে ছয়জন নাইজেরিয়ান ও একজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক।
১৩ জানুয়ারি এই দুই আসামিকে দুদিন এবং সাত বিদেশি নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক দিনের রিমান্ড দেয় আদালত।
অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আটটি পাসপোর্ট, ৩১টি মোবাইল, তিনটি ল্যাপটপ, একটি চেক বই ও লক্ষাধিক টাকা।
পরে তাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় মামলা করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলেন। ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে তারা নানা কৌশলে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।